ইরাক-সিরিয়া থেকে জঙ্গিবিমান ফেরত আনছে কানাডা

কানাডার বিজয়ী নেতা এবং ভাবী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি বিরোধী অভিযানে অংশ নেয়া জঙ্গিবিমানগুলো প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানিয়েছেন। সোমবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হওয়ার মাত্র একদিন পরই তিনি এ কথা জানালেন।

বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় নিজের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রুডো। ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে পরিচালিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় অংশ নিচ্ছে কানাডার এফ-১৮ যুদ্ধবিমানগুলো। ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সেগুলোর ওই দেশ দুটিতে অবস্থান করার কথা ছিল।

কিন্তু কানাডার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইহুদিবাদী ইসরাইলপন্থি প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারের কনজারভেটিভ দলটি হেরে যাওয়ার পর দেশটির পররাষ্ট্র নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। জাস্টিন ট্রুডোর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার আগেই জঙ্গিবিমানগুলো ফিরিয়ে আনার এ সিদ্ধান্তটি সে ইঙ্গিতই দেয়। তবে কবে নাগাদ সেগুলো ফিরিয়ে আনা হবে তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি কানাডার এই ভাবী প্রধানমন্ত্রী।

নির্বাচনী প্রচারণাতেও তিনি ইরাক ও সিরিয়া থেকে যুদ্ধবিমান ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে ২৫ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে তার দেশে আশ্রয় দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রুডো। যদিও শরণার্থীদের বিষয়ে বরাবরই কঠোর নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন পরাজিত নেতা স্টিফেন হারপার।

তবে জঙ্গিবিমান ফিরিয়ে আনলেও ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সামরিক প্রশিক্ষণে আগের মতই নিয়োজিত থাকবে কানাডীয় সেনারা। ওবামার সঙ্গে আলাপকালে তিনি দু দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন বিশেষ করে পরিবেশ ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই