ইবোলার মহামারী আরো বড় হচ্ছে, আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, ইবোলার মহামারীকে পশ্চিম আফ্রিকায় অতিরিক্ত পর্যায়ে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এ সপ্তাহে এই মহামারীতে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯ ছাড়িয়েছে।

এবছর এপর্যন্ত নাইজেরিয়া, গিনি, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরা লিওনে ইবোলার আক্রমণের শিকার হয়েছে ১ হাজার ৯শ’ ৭৫ জন।

আক্রান্তদের মাঝেই ১ হাজার ৬৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। এই সংখ্যা, সোমবার পর্যন্ত হালনাগাদ করা বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এই প্রাদুর্ভাব আরো বেশ কিছুদিন চলবে। প্রাদুর্ভাবের মাত্রার তূলনায় ইবোলাকে অবমূল্যান করা হয়েছে।

বিবৃতিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থাটি জানায়, এটি বৃহত্তর পর্যায়ে প্রাদুর্ভাবের মাত্রা নিরীক্ষণ করছে। এই নিরীক্ষণের ওপর নির্ভর করেই চিকিৎসাসহ সকল পদক্ষেপের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন নিহতের খবরগুলো এসেছে জেডম্যাপ এর নতুন অপরিক্ষীত ভ্যাক্সিন ব্যবহারের পর।

ইবোলা অঙ্গ এবং শারীরিক তরল, যেমন- রক্ত, লালা, ইউরিন এবং অন্যান্য গ্রন্থ নিঃসরিত তরলের মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর দেহ থেকে সুস্থ মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসের আক্রমণে রক্তক্ষরণসহ জ্বর আসে। এছাড়া দেঞের বিভিন্ন আভ্যন্তরীন অঙ্গে আক্রমণ করে রক্তক্ষরণের সৃষ্টি করে।

এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হল- হঠাৎ জ্বর আসা, দূর্বলতা, মাংসপেশীতে ব্যাথা, মাথাব্যাথা এবং স্বর ভেঙ্গে যাওয়া। এর পরবর্তী লক্ষণগুলো হল- বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, কিডনি এবং যকৃৎ জটিলতা। এছাড়া কখনো কখনো আন্তঃ ও বহিঃরক্তক্ষরণ হতে পারে।

দুই মার্কিন নাগরিক ইবোলার আক্রমণের শিকার হয়েছে এপর্যন্ত। তারা লাইবেরিয়ায় ইবোলায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা শ্রশ্রুষা করছিল বলে জানা গেছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য আটলান্টা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং ধীরে ধীরে তাদের সেরে ওঠার খবর জানিয়েছে চিকিৎসক দল।

গত সপ্তাহে স্পেনে মাদ্রিদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এক স্প্যানিশ প্রিষ্টের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি লাইবেরিয়ায় কর্মরত ছিলেন। তার ওপর জেডম্যাপের ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তবু তাকে বাঁচান যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই