ইন্টার‌্যাক্টিভ সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করেছিল সজীব ওয়াজেদের প্রথম স্টার্টআপ

গুগল প্রতিষ্ঠার আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সিলিকন ভ্যালিতে ইন্টারঅ্যাক্টিভ সার্চ ইঞ্জিন তৈরির জন্য একটি স্টার্টআপ দিয়েছিলেন।

গুগল প্রতিষ্ঠার আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সিলিকন ভ্যালিতে ইন্টারঅ্যাক্টিভ সার্চ ইঞ্জিন তৈরির জন্য একটি স্টার্টআপ দিয়েছিলেন। কিন্তু গুগল তাদের যাত্রা শুরু করলে জয়ের স্টার্টআপটি বন্ধ হয়ে যায়। আজ রোববার দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলোজি পার্ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

জয় তাঁর নিজের এই প্রথম স্টার্টআপ প্রসঙ্গে বলেন, “আপনারা জানেন আমি আইটি সেক্টরের মানুষ। কোন দিন সরকারি চাকরি করিনি। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ওখানেই স্টার্টআপ করেছি। আমি সেখানে চাকরিও করেছি স্টার্টআপও করেছি। আমি সিলিকন ভ্যালিতে প্রথম স্টার্টআপ আরম্ভ করি। আমার স্টার্টআপ ছিল গুগল শুরু হওয়ার আগেই। তখন ইন্টারনেট কেবল আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তখম মাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হচ্ছিল। তখন ইন্টারনেট সার্চ করাটা অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। সার্চ করলে এতো ভিন্ন রেজাল্ট আসতো যে এটা কোন সেন্স করা অর্থাৎ কি খুঁজছি তা বের করা অনেক সময় লাগতো। তখনও গুগল আবিস্কার হয়নি। তখন আমি সার্চের উপর কাজ শুরু করলাম। আমরা একটা ইন্টার‍্যাক্টিভ সার্চ সফটওয়্যার ডেভেলপ করলাম। যে সার্চ শুরু করলে সিস্টেমটা আমাকে উল্টো প্রশ্ন করবে যাতে আমি সার্চটাকে আরও ন্যারো করতে পারি। তারপরে অবশ্য গুগল আসলো। গুগলে আমাদেরকে মার দিয়ে দিলো। তো আমার প্রথম স্টার্টআপটা মার খেয়ে গেল।”

প্রতিবেশি দেশ ভারতে স্টার্টআপেরম অগ্রযাত্রা প্রসঙ্গে জয় বলেন, তিনি যখন ভারতের বেঙ্গালুরুতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নিয়ে পড়তেন তখন সেখানে স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে। আজ ভারত আউটসোর্সিংয়ে অন্যতম বড় দেশ। বাংলাদেশও একদিন সে পর্যায়ে যাবে। তখন বাংলাদেশ থেকেই গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠান বের হয়ে আসবে।

ওই অনুষ্ঠানে ‘কানেকটিং স্টার্ট আপ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও হাইটেক কর্তৃপক্ষ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এর মাধ্যমে ১০ জন সেরা উদ্যোক্তাকে এক বছরের জন্য বিনা মূল্যে সফটওয়্যার পার্কে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, আইসিটি সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, হাইটেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই