ইন্টারনেটে পর্ন নিষেধাজ্ঞা অসম্ভব, কারণ…

সাড়ে ৮০০টিরও বেশি পর্ন ওয়েবসাইট ব্লক করার পর বিতর্ক এখন তুঙ্গে দেশজুড়ে। পর্নহাব থেকে শুরু করে রেড ব্রিজার্স, রে টিউব-এর মত আন্তর্জাতিক স্তরের বড় বড় সব ওয়েবসাইট বন্ধের পর এখন প্রশ্ন ইন্টারনেটে কি সত্যিই এমন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আনা সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন এমন ধরনের নিষেধাজ্ঞা ইন্টারনেটে আরোপ করা একেবারেই পণ্ডশ্রম। কিন্তু কেন?

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-

১) সরকার যে সব ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে সেগুলি VPN বা ওই জাতীয় কোনও সার্ভারের মাধ্যমে খুলে তা ফের ব্যবহার করা যায়। ওই জাতীয় সার্ভারগুলির কাজই হল ব্লক করা কোনও ওয়েবসাইটকে খুলে দেওয়া। ওইসব ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্লক করা সাইটের লিঙ্ক দিলেই তা ফের খুলে যাবে।

২) ওয়েবসাইট ব্লক করার একটা উপায় হল ‘keyword’ট্র্যাক করে তা ব্লক করা। এভাবেই পর্ন বা ওইজাতীয় নানা শব্দ কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে তা খোঁজার পর সাইট ব্লক করা শুরু হয়। কিন্তু ‘keyword’এ পর্ন শব্দটি বহু ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে। নিউজ ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে হেলথ ওয়েবসাইটে পর্ন শব্দটিকে ‘keyword’হিসেবে ব্যবহার প্রায় সবাই করে থাকে। সেক্ষেত্রে দেশের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ব্লক হয়ে যাবে। আবার সাইট ব্লক করতে হলে ‘keyword’সার্চ করা ছাড়া সেভাবে উপায় কম।

৩) টরেন্ট জাতীয় ওয়েবসাইট থেকে সহজেই পর্ন ডাউনলোড করে তা মোবাইল বা যে কোনও জায়গায় দেখা যায়। টরেন্ট ওয়েবসাইট ব্লক করা টেকনিক্যালি প্রায় অসম্ভব।

৪) পরিসংখ্যান বলছে সাম্প্রতিককালে হোয়াটইসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে পর্ন ক্লিপ বা ছবি সবচেয়ে বেশি আদানপ্রদান হয়। সেক্ষেত্রে সবার আগে হোয়াটইসঅ্যাপ-এর মত সোশ্যাল সাইট বন্ধ করতে হয়। তা না হলে পুরো প্রক্রিয়া শুরুতেই গলদ আছে বলতে হয়।

৫) বেশ কিছু সফটওয়ার ব্যবহার করলে কিছু ক্ষেত্রে HTTP-এর বদলে ব্লক করা ওয়েবসাইটের লিঙ্কে HTTPS ব্যবহার করলে সেটি আবার খুলে যেতে পারে।

৬) কিছু ক্ষেত্রে ব্লক করা ওয়েবসাইটিতে বারবার রিফ্রেশ করলে সেটা খুলতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ব্লক করা ওয়েবসাইটের ডেভেলপিং ও কোডিংয়ে যদি পরিবর্তন আনা হয় তাহলে সেটি সম্ভব হবে।



মন্তব্য চালু নেই