ইন্টারনেটে ইসলাম চর্চা করতে নিষেধ করলেন জাতীয় মসজিদের ইমাম

ইন্টারনেটে কোরআন-হাদিস তথা ইসলাম চর্চা না করে এ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জনে আলেম সমাজের সাহায্য নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ এহসানুল হক। শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের আগে অভিভাবক এবং তরুণ সমাজকে উদ্দেশ করে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

ইন্টারনেটে ইসলাম চর্চা করতে গেলে অনেকে ভুল বা বিকৃত তথ্য দিয়ে তরুণদের বিপদগামী করার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সন্তানদের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগী ও সাবধান থাকুন। তাদের বিষয়ে সজাগ থাকুন, আপনার চোখ ফাঁকি দিয়ে আপনার সন্তানকে সন্ত্রাসীরা যেন কেড়ে নিতে না পারে। তাই প্রত্যেকের সন্তানের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এবং সুন্দর চরিত্রের শিক্ষা দিন।’

মাওলানা মুহাম্মদ এহসানুল হক বলেন, ‘ইসলামের সঠিক শিক্ষার অভাবে কোরআনের আলোকে না চলার কারণে তরুণ সমাজ আজ বিপদের পথে চলে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোরআনের শিক্ষা অভাবে তাদের সন্তানরা ভুল পথে চলে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোরআন-হাদিসের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন আপনারা ইন্টারনেটে না করে আলেম সমাজের দারস্থ হোন।’

এদিকে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানী এবং সারাদেশের অনেক মসজিদে পূর্ব নির্ধারিত বিষয়ে খুতবা পাঠ করেন ইমাম-খতিবরা। আজকের (২২/০৭/১৬ইং) খুতবার বিষয় নির্ধারিত বিষয় ছিল ‘কুরআন মাজিদ ও সুন্নাহর মর্যাদা ও গুরুত্ব’। প্রতি সপ্তাহেই এমন খুতবা সব মসজিদের সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তবে ইফার এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে হেফাজতে ইসলামসহ বেশ কটি ইসলামী সংগঠন। তাদের বক্তব্য খুতবার বিষয় উন্মুক্ত থাকাই সমাজের দাবি। কারণ এলাকাভেদে মানুষের আলাদা আলাদা সমস্যা নিরসনের চাহিদা থাকে খতিবদের কাছে।

শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররমে প্রবেশের তিনটি পথে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। মসজিদে প্রবেশের উত্তর ও দক্ষিণে আর্চওয়ে বসানো হয়। মুসল্লিদেরও দেহ তল্লাশি করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই