‘ইটিভিকে ৩০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে দিতে হবে’

ফ্রিকোয়েন্সি (তরঙ্গ বরাদ্দ) বাবদ একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) কর্তৃপক্ষকে ৩০ কোটি আট লাখ টাকা সরকারি কোষাকারে দিতে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এছাড়া ইটিভির টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার বাতিল করে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা অপর রিটও খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। বিটিআরসি’র পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাকিব।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২১ মার্চ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি (বিটিআরসি) ফ্রিকোয়েন্সি বাবদ ৩০ কোটি আট লাখ টাকা চেয়ে ইটিভিকে চিঠি দেয়। তারা চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে হাইকোর্ট চিঠির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। মঙ্গলবার রুল খারিজ করে দিয়ে আদালত স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছেন বলে জানান রেজা-ই-রাকিব।

এদিকে ২০০৭ সালে টেরিস্ট্রিয়াল সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন ইটিভির তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। মঙ্গলবার ওই রিটও খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। দুটি রিটের বিবাদী ছিলেন ডাক তার ও টেলি যোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, বিটিআরসি, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, জাতীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ।



মন্তব্য চালু নেই