ইজতেমায় রোহিঙ্গা মুসল্লি জানে না পুলিশ

দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা মুসল্লি মিয়ানমার থেকে এবারের ৫২তম বিশ্ব ইজতেমায় দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে তুরাগ তীরে আসলেও তা জানতো না পুলিশ। জানতো না ইজতেমা কর্তৃপক্ষও। তবে তাদের জন্য বিদেশি খিত্তায় আলাদা থাকার জায়গা না হওয়ায় ফিরে গেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা মুসল্লি টঙ্গির ইজতেমায় ময়দানে হাজির হন। বিদেশি মুসল্লি ও দেশের ১৫ জেলার মুসল্লিদের জন্য পৃথক পৃথক খিত্তা থাকলেও ছিল না রোহিঙ্গা কিংবা মায়ানমারের মুসল্লিদের খিত্তা। সে কারণে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নজরে আসে ইজতেমার স্বেচ্ছাসেবকদের। বসার ও থাকার বিশেষ জায়গা না থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে জুমা’র নামাজের আগে গাজীপুর জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে এসপি হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে বলেন, রোহিঙ্গা মুসল্লি কিভাবে এসেছিলেন, কখন, কিভাবে চলে গেছেন তা আমরা জানি না। রোহিঙ্গারা যে আসবে তা ইজতেমার মুরুব্বিদেরও অবগত করেনি।

তিনি বলেন, নিয়ম হলো তারা বিদেশি খিত্তায় অবস্থান নেবে। কিন্তু সেখানে আলাদা খিত্তা না থাকায় তারা বসতে পারেনি। তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অপেক্ষা করার পর চলে গেছেন। ১৩০ জনের মতো রোহিঙ্গা মুসল্লি ইজতেমায় এসেছিলেন বলে জানান এসপি হারুন অর রশিদ।

ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আজ দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় ভিড় বেশি। এ কারণে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুসল্লিরা যেন রাস্তায় বাধাগ্রস্থ না হন সেজন্য ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিদেশি মুসল্লিও অনেক এসেছেন। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেকটা পয়েন্টে পোষাকের পাশাপাশি সাদা পোষাকে গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

তিনি বলেন, এবারের পর্বে ৭ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছে। ৬৪টি জেলার ইজেতমা এক সঙ্গে না হয়ে ৩৪টি জেলাকে দুই পর্বে ভাগ করে হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই