ইউপি নির্বাচন: সম্ভাব্য প্রার্থীদের তথ্য নিচ্ছে আ.লীগ

পৌরসভা নির্বাচনের পর এবার দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ঢোল বাজছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী মার্চেই শুরু হবে ইউপি নির্বাচন। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ইউপি নির্বাচন।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে এখনো জোরেশোরে মাঠে না নামলেও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

আ.লীগের একটি সূত্র জানায়, ইউপি নির্বাচনের আগে আরও অর্ধশতাধিক পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তাই এদিকে নজর রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা।

গত পৌরসভা নির্বাচন-পরবর্তী মূল্যায়নে দলটি মনে করে, বেশ কিছু পৌরসভায় প্রাথী বাছাই সঠিক হয়নি। এ জন্য ১৯টি পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়। আবার কিছু পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে আ.লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়। ইউপি নির্বাচনে যেন এ সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

আ.লীগের একটি সূত্র জানায়, গত পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে ‘স্থানীয় সরকার/পৌর মনোনয়ন বোর্ড’ করেছিল, তাতে এবার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। সেখানে ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা আছে দলে। তবে এটা এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। মূলত বোর্ড যেন একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারে, এটাই ভাবনা দলটির।

সূত্রের তথ্যমতে, এবার প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হবে। তৃণমূল যাকে পছন্দ করবে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনিই অগ্রাধিকার পাবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ.লীগের দুজন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বলেন, পৌর নির্বাচনে প্রায় শতাধিক বিদ্রোহী প্রাথী ছিল। ইউপি নির্বাচনে তা আরও বেশি হতে পারে। তবে দল এবার বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে।

এদিকে, ইউপি নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রের তেমন তৎপরতা দেখা না গেলেও তৃণমূলে এরই মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা-উপজেলার শীর্ষ নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। কারণ পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষমতা ছিল স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা, উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য এবং দলের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, “ইউপি নির্বাচনে একক প্রার্থী ঠিক করা কঠিন হবে। তবে দলীয়ভাবে নির্বাচন হবে বলে এটা আমাদের করতেই হবে। আশা করি আমরা তার সমাধান করতে পারব।”

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, কোন পদ্ধতিতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থী বাছাই করা হবে সেটা এখনো ঠিক হয়নি। আগামী কার্যনির্বাহী বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।-ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই