ইউপি নির্বাচন: ‘ভোট ডাকাতির আলামত শুরু হয়ে গেছে’

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আলামত শুরু হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ অভিযোগ করেন দলটির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

রিজভী আহমেদ বলেন,’ কলঙ্কিত প্রহসনের ৫ জানুয়ারী ২০১৪ এর একতরফা নির্বাচনের যে মডেল খাড়া করেছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার এবং তার দোসর নির্বাচন কমিশন পরবর্তীতে তারা প্রতিটি নির্বাচনে সেই মডেলটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে অনুসরণ করে যাচ্ছে। এই ইউপি নির্বাচনেও যে ভোট ডাকাতিসহ আওয়ামী লীগ ক্যাডার ও পুলিশের যৌথ তান্ডব দৃশ্যমান হবে তার সকল আলামত শুরু হয়ে গেছে এখন থেকেই।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতকাল পটুয়াখালী জেলাধীন বাউফল উপজেলা’র ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জব্বার মৃধার সমর্থকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার খানপুর ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী খান আবিদুর রহমানের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা সমর্থনকারী ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সরোয়ারকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জোর করে ধরে এনে বলতে বাধ্য করায় যে, আবিদুর রহমানের চেয়ারম্যান প্রার্থীতার সমর্থন পত্রে তিনি স্বাক্ষর করেন নি।’

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দিচ্ছেনা আওয়ামীলীগের ক্যাডার বাহিনী, পিরোজপুর জেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কয়েকটি ইউপি সহ তেলিখালী ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মির্জা গোলাম কিবরিয়া রিপন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান দিলু’র ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা এবং প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিলে বাধা, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর ও চলাচলের ওপর উপুর্যপুরী হামলা এবং চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের প্রাণবিনাশী হুমকি অব্যাহতভাবে চলছে।’

নির্বাচন কমিশণ কী স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা নাকি গণভবন বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কিংবা সুধা সদনের এক্সটেনশন ভবন-এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরকারী দলের বাধার কারনেই বিএনপি মনোনীত ৮৩ জন প্রার্থীরা নোমিনেশন পেপার জমা দিতে পারেনি। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো তার জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের কারনেই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই। জনগণের ভোট প্রদানের অধিকার বিলুপ্ত করে সরকারের একচেটিয়াত্ব প্রতিষ্ঠার সহযোগী হিসেবে নির্বাচন কমিশন ভূমিকা পালন করছে।’

বিএনপির ১৯ মার্চের কাউন্সিল নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল ২০১৬ কে কেন্দ্র করে গঠিত উপ-কমিটিগুলো পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। প্রচার ও ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, শৃঙ্খলা ও সেবা উপ-কমিটি, ড্রাফটিং উপ-কমিটি, প্রকাশন উপ-কমিটি ইতোমধ্যে সভা করে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। ঢাকা মহানগরীতে প্রচার-প্রচারণার জন্য সড়ক-মহাসড়কের বিভাজক, লাইটপোষ্ট ও সড়কদ্বীপে ফেস্টুন টাঙ্গানোর জন্য অনুমতি পেতে সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রদের বরাবর আবেদন করা হয়েছে.’



মন্তব্য চালু নেই