ইউএনও ও এসিল্যান্ড না থাকায় বাজারের সরকারি জমি বে-দখলের হিড়িক

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ইউএনও ও এসিল্যান্ড না থাকায় উপজেলা সদর বাজারের সরকারি জমি বে-দখলের হিড়িক পড়ে গেছে। স্থানীয় ভূমিদস্যুরা রাতারাতি বাজারের সরকারি জমি বে-দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের প্রতিযোগীতায় মেতে উঠেছে। গত প্রায় ১ মাসে এ বাজারে প্রায় ডজন খানেক অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।

জানা গেছে, প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের কবল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার করতে ভূমি প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ উপজেলায় ইউএনও নেই ১৬ দিন থেকে। ফলে দাপ্তরিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ইউএনও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক এ উপজেলায় ৩ বছর কর্মরত থাকার পর তাকে পদোন্নতি দিয়ে গোপালগঞ্জে এডিসি’র দায়িত্ব দেয়া হলে ৯অক্টোবর তিনি শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়ে তার কর্মস্থলে চলে যান।

পরে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকারি সফরে গেলে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এ উপজেলার ইউএনওর দায়িত্বভার দেয়া হয়। কিন্তু শেরপুর থেকে এসে তার দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। গত ১৬ দিন থেকে এ উপজেলায় ইউএনও’র পদটি শূণ্য এবং গত ক’বছর ধরে এসিল্যান্ড না থাকায় উপজেলা সদর বাজারের সরকারি বে-দখলের হিড়িক পড়ে যায়।

এছাড়া দাপ্তরিক কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন ব্যাপারে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে জরুরী ভিত্তিতে এখানে ইউএনও না দেয়া হলে প্রশাসনিক সকল কর্মকান্ড ব্যাহত হবে। শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডাঃ একেএম পারভেজ রহিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শীঘ্রই ঝিনাইগাতী উপজেলায় ইউএনও নিয়োগ দেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই