ইঁদুরের কারণে ভেঙ্গে পড়ছে ব্রিজ! বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য…

ইঁদুরের উৎপাতে ক্রমশ বসে যাচ্ছিল ঢাকুরিয়া ব্রিজ। ব্রিজের নীচে মূষিক সাম্রাজ্য অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাড়ছে। মূষিক-দাপট রুখতে এবার বাধ্য হয়ে বিজ্ঞানীদের শরণাপন্ন হয়েছে রাজ্য।

ইঁদুরের উৎপাতে ক্রমশ বসে যাচ্ছিল ঢাকুরিয়া ব্রিজ। অবস্থা সামাল দিতে রেলের অধীনস্থ সংস্থা রাইট‌্সে’র দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি! ব্রিজের নীচে মূষিক সাম্রাজ্য অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাড়ছে। মূষিক-দাপট রুখতে এবার বাধ্য হয়ে বিজ্ঞানীদের শরণাপন্ন হয়েছে রাজ্য। শহরে বৃহস্পতিবার বণিকসভার এক অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম বলেন, ‘‘ঢাকুরিয়া ব্রিজে ইঁদুরের উৎপাত কমানোর জন্য রাইট‌্স’কে দিয়ে কাজ করানো হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। সে কারণে এবার বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।’’

বছর তিনেক আগেই প্রশাসনের নজরে এসেছিল ঢাকুরিয়া ব্রিজ ক্রমশ বসে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞেরা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন যে, ব্রিজের নীচের মাটি ক্রমশ ধসিয়ে দিচ্ছে ইঁদুরকুল। ওই ইঁদুরকুলের উৎপত্তি হয়েছিল সংলগ্ন ভ্যাট থেকে। প্রসঙ্গত, ১৯৬৩ সালে ওই ব্রিজ তৈরি করেছিল ‘কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’ (কেআইটি)। পুরনো পদ্ধতিতে তৈরি ওই ব্রিজের দু’প্রান্তের নীচে মাটি ভরা। আর ইঁদুরকুল সেই মাটিতে গর্ত করে বংশবিস্তার শুরু করে। তা থেকেই বিপত্তির সূত্রপাত! ক্রমশ বসে যেতে থাকে ব্রিজ। তার পরেই বিশেষজ্ঞেরা গিয়ে ব্রিজ পরিদর্শন করে মূষিককুলের সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। ইঁদুরের হাত থেকে ব্রিজকে বাঁচানোর জন্য রাইট‌্স সবরকম পন্থাই অবলম্বন করেছিল বলে ববি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ইঁদুর তাড়াতে স্প্রে করা হয়েছে। ব্রিজের মধ্যে ইঁদুর যে গর্তগুলো করেছিল, সেগুলো সিমেন্ট দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। আবার ইঁদুরেরা চলে আসছে।’’

প্রশাসনের একাংশ স্বীকার করে নিয়েছে, জনবহুল এলাকা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মূষিককুলের বিরুদ্ধে লড়াই কিছুটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ইঁদুরকুলের এলাকায় ঢোকা বন্ধ করতে না-পারলে সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ইঁদুর যাতে এলাকায় ঢুকতে না পারে আগে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইঁদুরদের আটকানো যায়নি।’’

শহরের অন্যান্য উড়ালপুল সম্পর্কিত বিষয়ও এদিন জানিয়েছেন ববি। পুরমন্ত্রী জানান যে, পরমা উড়ালপুলের এ জে সি বোস রোডের কানেক্টর দ্রুত চালু করা হবে। এদিন রামনগরে চার লেনের একটি উড়ালপুলের কাজের জটিলতা নিয়েও ববি একটি বৈঠক করেন। ওই এলাকার রাস্তা খারাপ বলে ববি দাবি করেন। ববির বক্তব্য, ‘‘ওখানকার রাস্তা খারাপের জন্য উড়ালপুলের কাজ করা যাচ্ছে না। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হয়েছিল দ্রুত রাস্তা মেরামতের জন্য। কিন্তু রাস্তা সারানো হয়নি। আজও ওদের বলেছি রাস্তা সারান।’’



মন্তব্য চালু নেই