যুবলীগ নেতা হত্যা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশের লুকোচুরি

মহানগর যুবলীগ নেতা ইমরান হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম এ মজিদকে গ্রেপ্তার করা হলেও বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করছে পুলিশ।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকার সেগুনবাগিচার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা ও রংপুর গোয়েন্দা পুলিশ।

তবে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও রংপুর কোতয়ালি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সঠিকভাবে কিছুই বলতে পারেনি।

শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এম এ মজিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। রংপুর থানায় নিয়ে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে।’

তবে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি কোতয়ালি থানা ও রংপুর গোয়েন্দা পুলিশ।

এ ব্যাপারে রংপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী জানান, গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

অন্যদিকে, গোয়েন্দা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেও এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, এম এ মজিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোপন রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রংপুর মোটর মালিক সমিতির নেতারা জানান, গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানাজানি হলে শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করছে।

প্রসঙ্গত, সিটি মেয়র ও দোকান মালিত সমিতির আহ্বানে গত ১ ডিসেম্বর ইমরান হত্যার প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে মহানগরীতে অর্ধদিবস হরতাল পালন করা হয়। এদিন সিটি মেয়র সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মজিদ ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রসাশনকে ১০ দিনের আলটিমেটাম দেন। একইসঙ্গে সন্ধানদাতাদের ২৫ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেন তিনি।

মেয়রের আলটিমেটামের আট দিনের মাথায় ঢাকায় গ্রেপ্তার হলেন ইমরান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এম এ মজিদ।

এর আগে, গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে এজাহারভূক্ত পলাতক শাহারুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর রাতে নগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মহানগর যুবলীগ নেতা ও রংপুর সিটি করপোরেশনের টোল আদায়কারী ইমরান নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বিপ্লব বাদী হয়ে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম এ মজিদ, তার ভাগ্নে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জেলা পিকআপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এখন পর্যন্ত ইমরান হত্যা মামলায় এজাহারভূক্ত তিন জনসহ মোট নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই