আ.লীগ আসেনি, তাই আমরাও যাইনি : গয়েশ্বর

বিএনপির সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধি না যাওয়ায় এবার তাদের সম্মেলনে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি যাননি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এটার চর্চা হয় নাই অতীতে। এবারও হয় নাই।’

শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিএনপির নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।

আজ সকালেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এর পরই গতকাল রাজধানীর প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমাদের সম্মেলনে কিন্তু আপনারা আসেন নাই… এবং সৌজন্যবোধের কারণে টেলিফোন করে দুঃখও প্রকাশ করেন নাই যে আমরা এই কারণে আসতে পারলাম না। কিন্তু আমরা আপনাদের মতো হীনমন্য নই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে আপনারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আপনাদের সম্মেলনে যাওয়ার জন্য বলেছেন। ইনশাআল্লাহ জাতীয়তাবাদী দল যে একটি উদার, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সেই প্রমাণ আপনারা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন পাবেন ইনশাআল্লাহ।’

এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’

কিন্তু আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বিএনপির কোনো প্রতিনিধি।

তবে আওয়ামী লীগের এই কাউন্সিলের কাছে প্রত্যাশা রেখে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমি আশা করব, তাদের কাউন্সিল থেকে একটি ঘোষণা আসবে, যে ঘোষণার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পথ প্রশস্ত হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার লালন-পালন ও চর্চা করার সুযোগ আসবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’

‘আগামী দিন জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের সরকার গঠন করবে। সেই ক্ষেত্রে যদি তারা (আওয়ামী লীগ) যদি পরাজিত হয়, তাহলে তারা বিরোধী দলে যাবে- এমন একটি অঙ্গীকার আমরা তাদের কাছে প্রত্যাশা করি’, যোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা।

গয়েশ্বর রায় আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র‍্যাব-পুলিশ-বিজিবি এখন আর রাষ্ট্রের নয়, তারা আওয়ামী লীগের। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ দাবি করছে, তারা এখন সবচেয়ে শক্তিশালী। কৃষক-শ্রমিকের টাকা লুট করে এবং বিভিন্নভাবে লুট করা টাকা খরচের মহোৎসব চলছে ঢাকায়। রাষ্ট্রের সম্পদ যখন দলীয় সম্পদে পরিণত হয় তখন দেশের মানুষের দুর্ভাগ্যের আর শেষ থাকে না।

বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহীনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তৃতা করেন দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া আক্তার প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই