আ.লীগে যোগ দিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা

বাসদ থেকে জাসদ। জাসদ থেকে জাপা। জাপা থেকে বিএনপি। বিএনপি থেকে জামায়াত। জামায়াত থেকে আবার বিএনপি। সব শেষে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেও খাছলত পরিবর্তন না হওয়ায় বেরসিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ (৫২)।
তিনি সদর উপজেলার গদাঘাটা গ্রামের সুলতান গাজীর ছেলে। ১৮ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল শেষে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের গেটের সামনে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকাত হোসেনকে মারপিট করার মামলার শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে পলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম আজাদ ইতোপূর্বে জামায়াতের সাবেক এমপি মাও. আব্দুল খালেকের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপি থেকে জামায়াতে যোগদান করেন। গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জামায়াতের প্রত্যেকটি নৈরাজ্য নাশকতার সঙ্গে আবুল কালাম আজাদ জড়িত। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী, গাছকাটা, রাস্তাকাটা, পুলিশ পেটানো, দোকানঘর ভাঙচুরসহ কমপক্ষে ৮টি মামলা রয়েছে পুলিশের খাতায়। এসব মামলা থেকে রেহাই পেতে আবুল কালাম আজাদ সেই জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

নব্য আওয়ামী লীগের হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রকৃত পোড় খাওয়া নেতাদের ওপর খবরদারি করতে থাকেন। সর্বশেষে তিনি ও তার কয়েকজন সঙ্গী শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকাত হোসেনকে মারপিট করেন। এ ঘটনায় সদর থানায় আরো একটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, গত বছর এই আবুল কালাম আজাদ সরকারের বিরুদ্ধে জামাতের হয়ে ঝাড়ু মিছিল, লাঠি মিছিল, ভাঙচুর করেছিল। পুলিশও রেহাই পায়নি তার হাত থেকে। একবার তিনি এলাকার আনিস মেম্বারের বাড়িতে ডাকাতি করে জেল খেটেছিলেন। এছাড়া তিনি দেশের প্রায় সব কয়টি রাজনৈতিক দলের স্বাদ নিয়েছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই