‘আ.লীগের সম্মেলন মানেই ইতিহাস’

আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই ইতিহাস বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠান একটা বিশাল ব্যাপার এবং এটি দেশের অস্তিত্বের ব্যাপার। আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই ইতিহাস। প্রত্যেকবার আওয়ামী লীগ যখন সম্মেলন করে, তখন নতুন ইতিহাস তৈরি করে।

‘অতীতে অনেক সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নেওয়া হয়েছিল এবং সেই সিদ্ধান্ত থেকে তারা এক সময় বাংলাদেশকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এক সময় তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা হবে। সেটাও কিন্তু বাস্তবায়ন করেছে।’

রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার বিকেলে দলের ২০তম সম্মেলন উপলক্ষে সম্মেলন প্রস্তুতি ও উপ-কমিটি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ১০ ও ১১ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে থেকে, বিদেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তাই তারা চাচ্ছেন সম্মেলন উৎসবমুখর হবে। সেই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।

আওয়ামী লীগে একক সিদ্ধান্ত কেউ নেয় না- উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে নিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। আজকে সম্মেলন প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির বিভিন্ন উপ-কমিটিকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্মেলন অনুষ্ঠানের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

গণমাধ্যমকে সম্মেলন নিয়ে বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশেরও আহ্বান জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধুর আমলে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ঢাকার বাইরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অদূর ভবিষ্যতে তেমন চিন্তাভাবনা দলের আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, এখন আওয়ামী লীগের এত বিস্তার, এখন সম্মেলন হলে ঢাকা শহরেই ঠাঁই দেওয়া অসম্ভব।

সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি ও সাব-কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আব্দুল মান্নান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই