আড়াই বছর পর ফিরে যা বললেন পূর্ণিমা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা দীর্ঘ আড়াই বছর পর ক্যামেরার সামনে এসেছেন। তাও ছোট পর্দায়। আসন্ন ঈদের বিশেষ দুটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ে ফেরা নিয়ে পূর্ণিমা বললেন, কাজে ফেরার ইচ্ছা আমার আগেই ছিল। কিন্তু সন্তান-সংসারের জন্য সময় বের করতে পারছিলাম না। এবার দুটো ভাল অফার পেয়ে কষ্ট করে সময় বের করে কাজগুলো করে ফেললাম।

একটি আরিফ খান পরিচালিত ‘আমার বেলা যে যায়’, আরেকটি তুহিন হোসেনের ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাতদিন’। ‘আমার বেলা যে যায়’তে সঙ্গে আছেন খ্যাতিমান শিল্পী আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তফা এবং মাহফুজ আহমেদ। ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাতদিন’-এ মোশাররফ করিম ও ইরেশ যাকের।

ভালই লেগেছে, আগের মতোই সবকিছু। তবে এবার একটা বিষয় উপলব্ধি হয়েছে, নতুন যারা কাজ করছেন তারা সিনিয়রদের যথাযথ সম্মান দিতে জানেন না। আমরা যেমন এখনও শুটিং করতে গিয়ে আফজাল ভাই, সুবর্ণা আপাকে দেখে দাঁড়িয়ে যাই, সম্মান দেখাই, তাদের সামনে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলি না। আমাদের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। এখনকার জুনিয়ররা সিনিয়রদের দেখে তেমন সম্মান করে না। এ বিষয়টি আমার ভাল লাগেনি।

এর কারণ, এখন নতুন যারা নাটক, টেলিফিল্ম বানাচ্ছেন তাদের অনেকে নিজেরাই প্রযোজক, নিজেরাই পরিচালক। নিজেরাই সব বোঝেন। তাদের ধারণা তাদের বাইরে আর কেউ কোন কিছু বোঝেন না। কাজের যোগ্যতার তুলনায় অহংকার বোধটা অনেক বেশি কাজ করে। টিভি মিডিয়াতে আগের মতো এখন আর সম্মান নেই বলেই আমার মনে হয়েছে।

ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অভিনয়ে নিয়মিত হতে পারবো না। কারণ, আমার মেয়েটা ছোট। তাকে দেখাশোনা করার মতো লোক নেই। এই দুটো টেলিফিল্ম করতে গিয়ে বিষয়টি বেশ অনুভব করলাম। তবে মাঝে মধ্যে করবো। বিজ্ঞাপন, নাটক। দুই-তিন দিনের কাজ। আর পরিচিত নির্মাতাদের কাজ করবো, যেখানে সম্মান পাওয়া যাবে, যেমন আরিফ খানসহ আরও যারা পরিচিত আছেন। যারা পূর্ণিমাকে চেনেন, জানেন, মূল্যায়ন করেন।

আপাতত বড় পর্দায় ফিরছি না। মেয়েটা একটু বড় হোক। তবে সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। ভাল গল্প, সুন্দর চরিত্র, ভাল পরিচালকের ছবির অফার পেলে ভেবে দেখবো। প্রয়োজন হলে মেয়েকে নিয়েই শুটিংয়ে যাবো। তবে কোন কিছুই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সময় বলে দেবে কি হবে, কি হবে না।ঘর-সংসার, স্বামী-কন্যা নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই