বাস যাত্রীদের ভোগান্তি

আসার থেকে যাবার ভাড়া বেশি!

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজশাহী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। কেউ কর্মস্থলে যোগ দিতে আবার কেউ স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার কারও বা জীবন সংগ্রাম শুরু করতে। আসার সময় বেশি ভাড়া না দিলেও যাবার বেলায় দিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে এমনটি অভিযোগ করলেন সাধারণ যাত্রীরা।

শুক্রবার সকালে নগরীর শিরইল বাস টার্মিনাল এলাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল গামী মানুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তরা মাত্র কয়েক দিনের জন্য রাজশাহীতে অতিথি হিসেবে ঈদ করতে এসেছিলো।

এদিকে সাধারণ যাত্রীরা বলছে, এখান কার কাউন্টার গুলোতে তেনম টিকেট নাই। তবে যা আছে তা আবার কালোবাজারিদের হাতে। টিকিটের বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। বাড়ি আসার পথের চেয়ে ফেরার পথেই দ্বিগুণ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বাস টার্মিনালে বসে থাকা যাত্রী সানজিদা আফরিন জানান, আসার থেকে যাবার ভাড়া বেশি। তিনি ঈদের আগে বাড়ির উদ্দেশে দেশ ট্রাভেলস-এর একটি বাসে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় বাস কাউন্টার থেকে টিকিট কিনেছিলেন ৬০০ টাকায়। অথচ টিকিটের স্বাভাবিক মূল্য ৪৫০ টাকা। ফেরার পথে কালোবাজারে এই পরিবহনের বাসের টিকিট কিনতে হয়েছে ৭০০ টাকায়। এরপরও অতিরিক্ত মালামালের দোহাই দিয়ে বাসের হেলপার নিচ্ছেন বারতী টাকা।

রাজশাহীতে ঈদ করতে আশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুমন বলেন, ঈদের সময় কালোবাজারিরা বাসগুলোর মালিক ও কাউন্টারের লোকজনের সঙ্গে মিলে টিকিট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। আর কোন টিকেট কিনতে হলে কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ঈদের দুদসপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে রাজশাহী এসেছিলেন ৪৫০ টাকায়। সেই একই পরিবহনের বাসে তাকে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে ৭৫০ টাকায় টিকিট কিনে। তাও এ টিকিট জোগাড় করতে দুদদিন পরিবহনের কাউন্টারে ধরণা দিতে হয়েছে।

এদিকে, যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া দিগুন নেয়ার বিষয় অস্বিকার করে হানিফ, সোহাগ, মডার্ন, দেশ ট্রাভেলস ও গ্রিন লাইন পরিবহনের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কাউন্টার থেকে নির্ধারিত মূল্যেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই