‘আসামে ৪০ লাখ মুসলমানকে বাংলাদেশি সাজানোর চেষ্টা’

ভারতের আসাম রাজ্যের ৪০ লাখ মুসলমানকে বাংলাদেশি সাজানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) প্রধান ও সংসদ সদস্য বদরউদ্দিন আজমল। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নবায়ন প্রক্রিয়ায় এসব নাম বাদ দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে সোমবার তিনি অভিযোগ করেছেন। এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে আজমলের এ মন্তব্যের জের ধরে রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে।

বদরউদ্দিন আজমল অভিযোগ করেন, ‘নাগরিকপঞ্জি নবায়নের কাজে যুক্ত একাংশ সরকারিকর্মী ইচ্ছা করেই অসহযোগিতা করছেন। যে কোনোভাবে আসামের বাসিন্দা ৪০ লাখ মুসলমানকে বাংলাদেশি সাজানোই তাদের লক্ষ্য।’

এআইইউডিএফ বিধায়ক আব্দুল রহিম খান বলেছন, ‘রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের স্বার্থে কথা বললে যদি তাদের বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশি রক্ষক’ তকমা দেয়া হয় সে অপবাদ মেনে নিতে প্রস্তুত এআইইউডিএফ।’

তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যদি সুপ্রিম কোর্টেও যেতে হয় সেজন্য এআইইউডিএফ প্রস্তুত রয়েছে।’

বদরউদ্দিন আজমলের অভিযোগের জবাবে মঙ্গলবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরণের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিছু লোক চাইছেন না, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়ন হোক। তাই এমনিতেই বলে দিয়েছেন ৪০ লাখ লোকের নাম বাদ দেয়ার চক্রান্ত চলছে।’

তিনি বলেন, ‘নাগরিকপঞ্জিতে রাজ্যের সবার নাম থাকা উচিত। নাগরিকপঞ্জিতে নাম তোলা নিয়ে কেউ হেনস্থার শিকার হোক, আমরা তা চাই না। কারো কোনো অসুবিধা থাকলে বলুন, আমি দেখব।’

এদিকে, এআইইউডিএফ এবং কংগ্রেসের মধ্যে এভাবে বাকযুদ্ধ চলায় বিরোধী অগপ এবং কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি তাদের সমালোচনা করে বলেছে, এই দু’টি দলই বাংলাদেশিদের রক্ষক। ভোট ব্যাংক রক্ষার স্বার্থে রাজ্যের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট তরুণ গগৈ এবং বদরউদ্দিন আজমল।

আসাম ছাত্র সংস্থা ‘আসু’র উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আজমল এখন নাগরিকপঞ্জি নবায়নে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছেন। তার কাজকর্ম অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশি রক্ষণাবেক্ষণের ভূমিকা নিয়েছেন তিনি।’

বিজেপি বিধায়ক প্রশান্ত ফুকনের দাবি, ‘বিদেশি নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণের ঠিকা নিয়েছেন আজমল। বিদেশীদের ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন তিনি, এবার মন্ত্রী সভায় যেতে চাইছেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’



মন্তব্য চালু নেই