আশা করি, নেইমারের সঙ্গে ফাইনালে লড়াই হবে: মেসি

দিলীপ মজুমদার (কলকাতা): ব্রাজিল বিশ্বকাপ থেকে লিও মেসি কী চান?

কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তর ফুটবলের রাজপুত্র নিজেই দিয়েছেন কাপ-যুদ্ধ আরম্ভের কয়েক ঘণ্টা আগে।

“আশা করছি আর্জেন্তিনা ফাইনাল খেলবে। আর সেখানে আমি নেইমারের মুখোমুখি হব।”

যার মানে মেসির আশা, ব্রাজিলের মাটিতে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত লড়াই হবে বার্সেলোনার দুই মহাতারকার মধ্যে। আর্জেন্তিনার মেসি বনাম ব্রাজিলের নেইমার। কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন। “বার্সেলোনায় এ মরসুমে আমাদের দু’জনের পারফরম্যান্স যেমন ভাল, তেমন আমাদের দু’জনের দেশের জাতীয় দল দু’টোও শক্তিশালী। কাপ ফাইনালে তাই আমাদের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ আছে।”

রবিবার বসনিয়ার বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনা ২০১৪ বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর চার দিন আগেই মেসি স্পেনের বিখ্যাত সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সম্প্রতি আর্জেন্তিনা একটা দল হিসেবে যেমন পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তাতে আমি বিশ্বাস করি, ব্রাজিল থেকে কাপটা এ বার আমরাই নিয়ে ফিরব।”

মেসির এটা তিন নম্বর বিশ্বকাপ। নেইমারের প্রথম। সে দিক দিয়ে তাঁর বার্সেলোনার ব্রাজিলীয় সতীর্থের চেয়ে বহু অভিজ্ঞ আর্জেন্তিনীয় মহাতারকা। মেসির কথাতেও তার স্পষ্ট ছাপ। “আমি মনে করি, আগের দু’টো বিশ্বকাপে আমি যা-যা ভুল করেছিলাম, তার থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়ে এ বার ব্রাজিলের মাঠে নামব। এবং আত্মবিশ্বাস আছে যে, আগের ভুলগুলো আর করব না। কোনও সন্দেহ নেই, আর্জেন্তিনার সমর্থকদের আমাদের উপর বিশাল প্রত্যাশা। আমরাও এক দল শক্তিশালী ফুটবলারের সমষ্টি। যারা রীতিমতো টগবগ করছে। মনে রাখবেন, আর্জেন্তিনা ইদানীং হারেনি।”

নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেসি প্রায় হুঙ্কার দিয়েছেন, “দেশের জার্সিতে মাঠে আমি এখন একদম অন্য প্লেয়ার, যে কেবল জিততেই চায়। হার মানতে পারে না। দেশকে জেতাতে আমি যে কোনও লড়াই দিতে বা তর্ক করতেও প্রস্তুত। বিশ্বকাপ জেতা আমার স্বপ্ন। সেটা সত্যি করতেই হবে এ বার।” আগের দু’বারের বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে অবশ্য মেসি আক্ষেপ করেছেন। “দু’বারই আমার হেরে যাওয়ার পর সমর্থকেরা আমাদের সঙ্গে অন্যায় ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু দু’বারই আমরা খুব ভাল খেলেছিলাম বলে আমার ধারণা।”



মন্তব্য চালু নেই