আলোচিত সেই মা-ছেলের ভাগ্য নির্ধারণ আদালতে

ফেনী শহরের শাহীন একাডেমী সড়কের একটি বাসা থেকে পাঁচ বছর পর উদ্ধার হওয়া আলোচিত সেই মা-ছেলের ভাগ্য নির্ধারণ হবে আদালতে। রোববার তাদের সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাহানআরা বেগম রোজি ও শিশু পুত্র মেহেদী ইসলাম জিমুনকে উদ্ধারের পর থেকে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের দায়িত্বভার কে নেবে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছেন না পুলিশ। এনিয়ে শনিবার রাতে বৈঠক হলেও সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

রাত ৮টায় ফেনী মডেল থানার ওসির কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সুনীল চন্দ্র ও স্থানীয় কাউন্সিলর মো. ওমর ফারুক ছাড়াও জিমুনের পিতা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ভূঞা, জেঠা মো. সোলায়মান, খালা জাহানআরা বেগম ও নুরের সাফা বেগম, মিজানুর রহমান উপস্থিত হন। বৈঠকের একপর্যায়ে উপস্থিতিদের স্বাক্ষর নেয়ার সময় জিমুনের পিতা কৌশলে সরে পড়েন। পরবর্তী সময়ে তার অনুপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সুনীল চন্দ্র জানান, জিমুন ও তার মা রোজীর দায়িত্বভার নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আজ আদালতে হাজির করা হবে।

এদিকে গতকাল সকালে জিমুনকে দেখতে হাসপাতালে যান তার পিতা আবুল কালাম আজাদ ভূঞা। প্রথমবারের মতো শিশুপুত্রকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। জন্মের পর থেকে পিতাকে না দেখায় আজাদ ভূঞার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে জিমুন। তাকে দেখে রোজী রাগান্বিত হলে ছয় মিনিট থেকে তিনি চলে যান। এ দৃশ্য দেখে হতবাক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপস্থিত রোগীরা।

হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মা-ছেলেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের পরিচর্যা পেলে আরো দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই