আ’লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা, আহত ২০

মোঃ ফজলে আলম, ভোলা থেকে: ভোলায় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লিয়াকত হোসেন মনছুরের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী রাইছুল আলম ও তার সমর্থকেরা। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

হামলাকারীদের বন্দুকের গুলি, বোমা ও লাঠির আঘাতে আ.লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ দলটির সমর্থকেরা আহত হন বলে জানা গেছে।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত লিয়াকতসহ ৩ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আ.লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৫টি নির্বাচনী অফিসেও ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা ।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের কমরুদ্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত মো. সবুজ জানান, রাতে বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী রাইছুল ও তার সমর্থকেরা শর্টগান, পিস্তল, হাত বোমা ও লাঠি নিয়ে ইউনিয়নের রাঢ়িরহাট ও নতুনহাট রাস্তার মাথায় আ.লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।

এরপর তারা কমরুদ্দি এলাকার অপর একটি দলীয় অফিস ভাঙচুর করতে যায়। এসময় লিয়াকত তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এর পরপরই আ.লীগ নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে লিয়াকতসহ অন্তত ২০ জনকে আহত করে বিএনপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও তার সমর্থকেরা।

এ ব্যাপারে ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি মো. রফিউদ্দিন জানান, বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী রাইছুলের ছোট ভাই মঞ্জুর আলম কিছুদিন আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। যোগদানের এক মাসের মধ্যে তিনি ভোলা পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি অভিযোগ করে জানান, ২০ ফের্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে মঞ্জুর আলমকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের পদ দেয়া হয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাইছুল আলম এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারই পরিপেক্ষিতে হামলার এ ঘটনা ঘটল।

এদিকে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ইয়ারুল আলম লিটন।

এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।



মন্তব্য চালু নেই