পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা

আ’লীগের ২০ নেতাকর্মীর নামে মামলা : ২ যুবলীগ কর্মী গ্রেফতার

পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন খন্দকার (২৬) কে গুলি করে হত্যার অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত বাঁধনের মা রেনু আক্তার বাদি হয়ে বুধবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় রুবেল ও বাবু নামের দুই যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঈশ্বরদী থানার ওসি বিমান কুমার দাশ জানান, মামলায় মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম ওরফে বাদলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আর হুকুমের আসামি করা হয়েছে মুলাডুলি ইউনিয়নন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠুকে।

মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরা হলো, ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী গ্রামের রুবেল মল্লিক ও মুলাডুলি স্টেশন পাড়ার বাবু শেখ। মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক মালিখা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনই যুবলীগ কর্মী। ওসি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে বাঁধনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত: ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি স্টেশনপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বারণী স্নানের মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন খন্দকার নিহত হয়। বাঁধন মুলাডুলি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নাম্বার ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুলডিুলি গ্রামের মৃত বাবুল খন্দকারের ছেলে।



মন্তব্য চালু নেই