আরো বাড়বে তাপমাত্রা

এখনো কাটেনি বসন্ত, অথচ তাপপ্রবাহে ব্যস্ত মানুষের নাভিশ্বাস। রাজশাহী, পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে, সেই সঙ্গে আরো বিস্তৃতি লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করছে। এ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

ফলে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী তিনদিনের মধ্যে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ওই রাজ্যের পাঁচ জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে সেখানকার আবহাওয়া অফিস। এর মধ্যে রাজ্যের বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৮ ডিগ্রি বেশি।

চৈত্রের শেষেই তীব্র দাবদাহ গ্রাস করেছে বাংলাকে। রাস্তায় বেরিয়ে গরম বাতাসের দাপটে নাজেহাল মানুষ। কয়েকদিন ধরেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা।



মন্তব্য চালু নেই