আরডিআরএস’র বিরুদ্ধে সদস্যের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

হামিদা আক্তার বারী, ডিমলা (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদরে অবস্থিত বে-সরকারী সংস্থা আরডিআরএস এর ঋনদান কার্যক্রমের ফিল্ড অফিসার (এফ.ও) আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সদস্য হয়রানী ও সদস্যদের ঋন পরিশোধের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চরম ভোগান্তি ও হয়রানীর শিকার সদর ইউনিয়নের ময়নুল ইসলামের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ময়নুলের স্ত্রী জোসনা বেগম এর জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর-৭৩১১২১৯১১১০১,ডিমলা সদরের শিব মন্দিরপাড়া মহিলা দলে ২০১৪ সালের ১৩ই মে মাসে উক্ত সংস্থার ঋন কর্মসূচীতে সদস্য হিসেবে ভর্তি হয়। তার সদস্য নম্বর-৫১। দলের নম্বর-২০৫৭,সংস্থা হতে পাশ বহি ইস্যুর তারিখ-১৮ই মে/১৪ইং। বহি নম্বর-৩৬০২।

সদস্য জোসনা বেগম প্রথম বার ১০ হাজার, দ্বিতীয় বার ১৫ হাজার এবং তৃতীয় বার ১৫ হাজার টাকা উক্ত সংস্থা হতে ঋন গ্রহণ করে। দীর্ঘদিন ধরে এসব ঋনের কিস্তি ঠিক মত দিয়ে আসলেও ঋনের টাকা আদায়কারী ফিল্ড অফিসার আশরাফুল ইসলাম বিভিন্ন চালাকী করে ছলনার আশ্রয়ে এবং সদস্যে জোসনা বেগম ও তার স্বামী ময়নুল ইসলাম দু’জনেই লেখাপড়া জানে না মর্মে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উক্ত ফিল্ড কর্মী ৮ হাজার ২’শ টাকা আত্মসাৎ করেন।

শুধু তাই নয়, ঋন দেয়ার কথা বলে এই দম্পতির প্রায় ৪০ হাজার টাকা পরোক্ষভাবে ক্ষয়ক্ষতি করেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। অভিযোগকারী মযনুল জানায়,আমাকে নতুন ঋন দেয়ার কথা বলে পুরাতন ভ্যানগাড়িটি বিক্রি করে পূর্বের ঋনের টাকা পরিশোধ করতে বলেন ফিল্ড অফিসার আশরাফুল। তিনি বলেন, তুমি পুরাতন ভ্যান বিক্রি করে ঋন পরিশোধ কর আমি তোমাকে নতুন ঋন দিয়ে বেটারী চালিত নতুন ভ্যানগাড়ি কিনে দিবো। আমি ভ্যান বিক্রি করে ঋন পরিশোধ করলেও আর আমাকে ঋন দেয়া হয়নি। বর্তমানে আমার একমাত্র উপার্জনের বাহন ভ্যানগাড়ীটি না থাকায় এখন পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিন অতিবাহিত করছি। বাড়ীর একটি ছোট্ট গরু ছিল তাও বিক্রি করে দিয়েছি অভাবের কারনে।

পাশ বহি অনুযায়ী গত ২০ অক্টোবর/১৫,২৫ নভেম্বর/১৫ ও ২৪ ডিসেম্বর/১৫ তারিখে যথাক্রমে আমি ১২’শ ১৩’শ ও ৭’শ টাকা পরিশোধ করলেও ফিল্ড কর্মী উক্ত টাকা সদস্যে জোসনা বেগমের সঞ্চয়ের জমাকৃত টাকা থেকে ভূয়া স্বাক্ষর করে উত্তোলন করে ঋন বহিতে পরিশোধ দেখান অথচ উক্ত টাকা আমি তার হাতে দিয়েছি। আমরা স্বামী-স্ত্রী লেখাপড়া না জানায় আমরা তার এ টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পরে অন্যকে পাশবহি দেখালে এবং সঞ্চয়ের টাকার খোঁজখবর নিয়ে এ টাকা খবর আমরা পাই। একইভাবে গত ২৮ জানুয়ারী/১৬ তারিখে ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও উক্ত ফিল্ড কর্মী টাকা হাতে হাতে নিয়ে এখন অস্বীকার করছে। আমি পোষ্ট অফিসের সামনে বাবুর চায়ের দোকানের সামনে উক্ত টাকা ফিল্ড কর্মীকে বাবুর সামনেই দেই। যা তিনি পরবর্তীতে পাশ বহিতে তুলে দিয়ে স্বাক্ষর করেন। এখন তিনি বলেন উক্ত স্বাক্ষর তিনি করেননি। উক্ত ৮ হাজার ২’শ টাকা তিনি আত্মসাৎ করে আমাকে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানী করছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফিল্ড অফিসার আশরাফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন এসব মিথ্যা।



মন্তব্য চালু নেই