আমেরিকায় সপ্তাহে ১৭০০ কিশোরী মা হচ্ছেন!

গত কুড়ি বছরে কৈশোর বয়সে মা হওয়ার প্রবণতা অনেক কমে গেছে আমেরিকায়। আগে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিশোরী মাতৃত্বের শিকার হত মার্কিন মুলুকে। এখন কমলেও, আমেরিকায় প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ৭০০ কিশোরী মা হচ্ছে, বলছে সমীক্ষা।

এই সমীক্ষাটি প্রকাশ করেছিল ইউএস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের একটি টিম। কৈশোরে মা হওয়ার সবচেয়ে সমস্যা, প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার ফলে সেই কিশোরীরা সবধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও চিকিতসা সংক্রান্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, জানিয়েছে সংস্থাটি।

সিডিএস-এর ডিরেক্টর জানিয়েছেন, আগের থেকে কৈশোরে মা হওয়ার প্রবণতা অনেক কমে গেলেও, এখনও অবধি অনেক কিশোরীই মা হচ্ছেন মার্কিনে।

ন্যাশনাল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে যেখানে ৫১.৯ শতাংশ কিশোরী মাতৃত্বের শিকার হয়েছিলেন, সেখানে ২০১২ সালে তা নেমে এসে দাঁড়ায় ১৭ শতাংশে। ১৭ বছর বয়সের আগে যারা মা হয়েছে তাদের মধ্যে হিসপ্যানিক, নন-হিসপ্যানিক ব্ল্যাক ও আমেরিকান ইন্ডিয়ান গোষ্ঠীর কিশোরীই বেশি।

কৈশোরে মা হয়েছেন এমন কিশোরীর মধ্যে আবার ৭৩ শতাংশেরই স্বাভাবিক যৌন জীবন নেই। গবেষকরা দেখেছেন অধিকাংশ কিশোরীই এখনো তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে যৌন জীবন সম্পর্কে সরাসরি কোনো আলোচনা করেনি। তাদের যৌনতা সম্পর্কে জ্ঞানও খুব কম। এরফলে সেক্স করলেও, তারা ঠিকমতো সুরক্ষা নিতে শেখেনি। যার প্রভাবে যৌন সংসর্গের পরেই বেশিরভাগ কিশোরীর মা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বেড়ে গেছে।

কিশোর বয়সে মা হলে শুধু একটি মেয়ের শরীরেই তার প্রভাব পড়ে না। এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবও সুদূরপ্রসারী, বলছে সিডিসির সমীক্ষা।

অর্থনৈতিক প্রভাব থাকে কারণ অনেক সময়ই সেই মেয়েরা তাদের হাই স্কুল বা কলেজ শেষ করতে পারে না, কিন্তু মা হওয়ার ফলে চলে আসে অতিরিক্ত দায়িত্ব। তাই অনেক সময়ই মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে নিম্নমানের চাকরি নিতে তারা বাধ্য হয়ে।



মন্তব্য চালু নেই