আমি ভাগ্যবান, চারপাশে ভালো খবর : মুহিত

নিজেকে খুবই ভাগ্যবান বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্য শুনে উচ্ছ্বসিত অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী বলেন, চারপাশে ভালো খবর। কারও মুখে খারাপ খবর নেই।

রবিবার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাদ্য এবং কৃষিও বদলাবে” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুহিত।

এর আগে সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শুধু উৎপাদনে নয়, চাল বিদেশে রপ্তানিও করা হয় এখন। একসময় এ দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি করা হতো। কিন্তু আজ প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য রপ্তানি করা হয়।

সেমিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম এ সাত্তার। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবে রাব্বানী।

বক্তাদের বক্তব্য শুরু থেকেই মনোযোগ দিয়ে শোনেন অর্থমন্ত্রী। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বিজ্ঞ অতিথিদের বক্তব্য শুনছি। ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমার খুব ভালো লেগেছে যে, কারো মুখেই খারাপ খবর নেই। সবার মুখেই ভালো কথা। কোনো হতাশা নেই।’

তবে বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। বিশেষ করে অল্প বয়স্কদের ক্ষেত্রে। আমাদের পুষ্টিচাহিদা পূরণের চেষ্টা আরও বাড়াতে হবে।’

তবে পুষ্টি উন্নয়নেও বর্তমান সরকারের সফলতা আছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে দেখেছি, সেখানেও আমরা সফল হচ্ছি। প্রায় ২০ শতাংশ পুষ্টিহীনতা কমেছে।’

নিজের বয়স ও গত সাত বছর ধরে দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একাধারে সাত বছর জনসেবায় যুক্ত আছি। পাকিস্তান আমলে গমের জন্য একজনকে জীবন দিতে হয়েছে। আর আজকে গম উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকছে দেশে।’

এখন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আবাদি জমির পরিমাণ কমে গেলেও উৎপাদন কিন্তু কমেনি। এর কারণ কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার। ফলে অল্প জমিতে বেশি পরিমাণ ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এটি আমাদের বিজ্ঞানীদের অবদান। এই পরিবর্তন সত্যি অনেক গর্বের।’

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তারাও দেশের কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্যনিরাপত্তার সফলতার কথা তুলে ধরেন।

কৃষিসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন।



মন্তব্য চালু নেই