আমি ডিভোর্সি মহিলা, প্রেমিক ছেলেটি আমার চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট ও বিবাহিত…

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তরুণী।

অনেক কষ্ট নিয়ে লিখতে হচ্ছে। আমি একজন ডিভোর্সি মহিলা, একটি স্কুলে পড়াই। আমার এক মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পরে। আমার হাজবেন্ড আমাকে সন্দেহ করার কারণে আমাদের ডিভোর্স হয়। যদিও আমাদের প্রেমের বিয়ে ছিল এবং পালিয়ে করে ছিলাম। কিন্তু আমার ডিভোর্স হওয়ার পর একটি ছেলের সাথে পরিচয় হয় ফেসবুকে। যদিও পরে জানি সে আমার রিলএটিভ। আমার চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট।

আমাদের খুব ভালো বন্ধুত্ব হয় এবং পরে আমরা নিজেরা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়েও করি। যদিও আইনের কোনো প্রমাণ নাই। আমরা এও জানি যে আমাদের কখনো পারিবারিক ভাবে মানবে না। চেষ্টাও করিনি। সে আরেকজনকে বিয়ে করবে আমি জানি। গত কিছুদিন আগে সে বিয়ে করে। আমার সাথে তার যোগাযোগও হচ্ছে। সে বার বার বলছে যে কিছুদিন দেখতে, কারণ যদি একটি ভুল হয় সব শেষ। সে বার বার বলছে যে আমার সাথে সম্পর্ক রাখবে। কিন্তু কিছুদিন যেতে যাতে কেউ সন্দেহ না করে।

কিন্তু আমি কেন জানি না সহ্য করতে পারছি না সবকিছু। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। যার জন্য আমি আবার আমি অন্য কিছু চিন্তাও করছি না। ওর বিয়ের আগ পর্যন্ত সে সব করছে। সে আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে। কিন্তু আমি পারছি না। না পারছি ছাড়তে আবার না পারছি সব সহ্য করতে। ও ঢাকা থাকে আর আমি সিলেট। কী করব আপু? অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমাদের শারীরিক সম্পর্কও হয়।

পরামর্শ ,
আপু, আপনি কি এখনো বুঝতে পারছেন না যে ছেলেটি আপনাকে ঠকাচ্ছে? আপনি কি এখনো বুঝতে পারছেন না যে ছেলেটি কেবলই শারীরিক সম্পর্ক করার লোভে আপনার সাথে সম্পর্ক করেছিল? খুব কঠিন ভাবেই বলি আপু, আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ের কোন মূল্য আসলে সমাজে নেই। এইসব কেবলই গালভরা কথা, যেগুলো শারীরিক সম্পর্কের ফাঁদে ফেলার জন্য ছেলেটি ব্যবহার করেছে। এই ছেলে আপনাকে ভালবাসে না। সে কখনোই আপনাকে বিয়ে করে একটি সুখের জীবন দিবে না। আপনার একটি মেয়ে আছে আপু। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে হলেও আপনার উচিত এই ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা।

আরেকটি কথা আপু, আপনার উচিত ছেলেটির স্ত্রীকে সব জানানো। সেই মেয়েটির জানার অধিকার আছে যে ছেলেটি স্ত্রী চায় আবার রক্ষিতা রুপেও আপনাকে চায়। এই ছেলেটির সাথে এই মিথ্যা সম্পর্কের মায়া ছেড়ে যত দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসুন। আপনি কাকে ভালোবাসেন, কতটা ভালোবাসেন সেটার কোন মূল্য নেই। কেউ আপনাকে ভালবাসে কিনা, সেটাই হচ্ছে মুখ্য। যথেষ্ট ভুল করে ফেলেছেন, আর ভুল করাটা উচিত হবে না জীবনে।



মন্তব্য চালু নেই