‘আমার মৃত্যু হওয়া উচিত ছিল’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ বাস ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা নারীদের শ্লীলতাহানি করেছে তারা শুধু নারীদের নয়, পুরো জাতিকে অপমান করেছে। এ ঘটনা শোনার আগে আমার মৃত্যু হওয়া উচিত ছিল।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারীদের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

এমাজউদ্দীন বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা গর্ব করছি, সে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কের কালি মেখে দিয়েছে সরকারের সমর্থনে থাকা কিছু দুর্বৃত্ত। এ ধরনের কিছু নর্দমার কীটের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হতে দিতে পারি না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, গৌরব ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, তাদেরকে এমন শাস্তি দেওয়া হোক যাতে তা দেখে ভবিষ্যতে অন্য কেউ এমন জঘন্য অপরাধ করতে না পারে।

এ সময় তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সরকারকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

টিএসসির ঘটনাকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নারী ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে যেতে না পারে সেজন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে এরকম নির্যাতন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি শওকত মাহমুদ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই