আমাকে জীবন্ত সিংহের খাঁচায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় : ড্যানি সিডাক

১৯৮৬ সালে ‘লড়াকু’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অভিনেতা ড্যানি সিডাকের। ছবিটিতে এন্টিহিরোর চরিত্রে অভিনয় করলেও পরবর্তী ড্যানি সিডাক অসংখ্য দর্শক নন্দিত ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘বনের রাজা টারজান’, ‘সুপারম্যান’, ‘গরিবের রাজা রবিনহুড’, ‘সিংহ পুরুষ’, ‘লেডি র‌্যাম্বো’, ‘বাঘা বাঘিনি’ ও রুপের রানি গানের রাজা’ ইত্যাদি।
ড্যানি সিডাক সবসময়ই এদেশে ভিন্ন প্যাটার্নের অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন। আর এইসব ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে ড্যানি সিডাক একবার নির্ঘাত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন।

ড্যানি বলেন, বাঘা বাঘিনি ছবিটি করতে তখন ভারতে যেতে হয়েছিল। ভারতের ত্রিবান্দ্রাম নামক এক জায়গায় শুটিং করা হবে। শুটিং- এ আমাকে সিংহের সাথে লড়াই করতে হবে। সবকিছু রেডি। আমি তো জানি সিংহ পোষ মানে, তাই কারো ক্ষতি করতে পারে না, কেননা সেটা ছিল একটা সার্কাসের সিংহ।

ড্যানি সিডাক রোমহর্ষক বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আমাকে জীবন্ত সিংহের খাচার ভেতর ঢুকিয়ে তালা মেরে দেওয়া হলো। পরিচালকের কথা মতো আমি শট দিতে গিয়ে সিংহ আমাকে আক্রমণ করে বসে। দ্রুত আমাকে ওখান থেকে উদ্ধার না করলে আমি হয়তো কয়েক মুহূর্তেই মারা যেতাম। সেই ঘটনায় আমি মারাত্মকভাবে আহত হই।

ড্যানি সিডাক অবশ্য এরপরে বাঘ ও অজগরের সাথেও লড়াই করেছেন বনের রাজা টারজান ছবিতে অভিনয় করার সময়। এরকম অসংখ্য অভিজ্ঞতা রয়েছে এই অভিনেতার। তার সর্বশেষ ছবি এখন মুক্তির অপেক্ষায়। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তি নিয়ে নির্মিত এই ছবির নাম ‘কাসার থালার রূপালী চাঁদ’। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন ড্যানি সিডাক। ছবিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সম্পূর্ণ ভাষণ কাহিনীর প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ড্যানি সিডাক অভিনেতার বাইরে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক। দীর্ঘ সময় অভিনয়ের পেছনে ব্যয় করেছেন। এবার অভিনয়শিল্পীদের জন্য কিছু করতে চান এই অভিনেতা। আর এজন্যই এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন। তার প্যানেলের নাম ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা প্যানেল। আগামী ৫ মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ড্যানি অনেকগুলো ইস্তেহার দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে, শুধু শিল্পীদের জন্য তৈরি করবেন শিল্পী পল্লী, চিকিৎসার অভাবে কোনো শিল্পী মারা যাবে না, তার ব্যবস্থা করবেন। শিল্পীদের ছেলেমেয়েদের অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হবে না, শিল্পীদের নামের সাথে দুঃস্থ শব্দটি ঘুচিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই