আমরা কেন গাজায় বর্বরতা চালাচ্ছি- ইসরাইলি সেনাদের প্রশ্ন

ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর সাবেক সেনা সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি সংস্থা জানিয়েছে, তাদের কাছে সেনারা গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইসরাইলি বাহিনী যখন অবরুদ্ধ গাজায় বর্বরোচিত ও পাশবিক হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন সেনারা এই প্রশ্ন তুলল।

ব্রেকিং দা সাইলেন্স অর্গানাইজেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা ইয়াহুদা শাউল গতকাল (বুধবার) রাশিয়া টুডে’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, অনেক সেনা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরে এসে আমাদের কাছে প্রশ্ন করেন, আমরা কেন গাজাবাসীদের ওপর পাশবিকতা চালিয়ে যাচ্ছি? আমরা কেন তাদের ওপর এত শক্তি প্রয়োগ করছি? আমরা কেন তাদের সঙ্গে এভাবে আচরণ করছি?

এর আগে অনেক সেনা ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে যোগ না দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। গত মাসে ইসরাইলি বাহিনীর ৫০ জন রিজার্ভ সেনা অবরুদ্ধ গাজায় বর্বরোচিত ও পাশবিক হামলার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটন পোষ্টে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে।

ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, সেনাবাহিনীর বর্তমান সামরিক অভিযান এবং সামরিকরণ যে ভাবে আমাদের সমাজকে প্রভাবিত করছে তা অবিচ্ছিন্ন। ইসরাইল রাজনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম নয় বরং তারা সব কিছুই পেশীশক্তির দ্বারা সমস্যার সমাধান করতে চায়। আমরা স্পষ্টত দেখতে পারছি তারা এই বর্বরতা আজিবন চালিয়ে যাবে এবং এর কোন শেষ নেই।

গত আট বছরে ইসরাইল মোট আটবার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যু্দ্ধে করেছে। এর মধ্যে তিন বারই গাজাবাসী বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। গত ৮ জুলাই থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী গাজায় বর্বরোচিত ও পাশবিক হামলা চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। গাজায় ইসরাইলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে যখন ৭২ ঘণ্টার মানবিক যুদ্ধবিরতি চলছে তখন ১১ ফিলিস্তিনি অপহৃত হওয়ার ঘটনা ঘটল।

২৯ দিনের আগ্রাসনে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। এতে শহীদ হয়েছেন প্রায় ১,৯০০ ফিলিস্তিনি এবং আহত হন ৯,৫০০ মানুষ। এদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৪০০ জন। এর বিপরীতে ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী- ৬৪ সেনা নিহত ও ১,৬২০ জন আহত হয়েছে। আর বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে মাত্র তিনজন।



মন্তব্য চালু নেই