শোকের মাতম রাউজান-ফটিকছড়িতে

আবুধাবীর নিহত ৩ ও আহত ৭ প্রবাসির পরিচয় মিলেছে

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে একটি টায়ারের দোকানে অগ্নিকাণ্ডে ১০জন মারা গেছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও ৩০ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীরাও রয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। নিহতদের কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক বাকি বেশির ভাগের বাড়ী বাংলাদেশের চট্টগ্রামের রাউজানে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।

ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাউজানের ৬ জনের মৃত্যু সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার হলে নিহতদের পরিবারসহ দুবাই প্রবাসি অধ্যুষিত এ উপজেলার সর্বত্র শোকের মাতম চলছে।

এ ঘটনায় রাউজানের সংবাদকর্মীদের মোবাইলে ফোনে অনেক প্রবাসির পরিবারের সদস্যরা জানতে চাচ্ছেন নিহতদের নাম ঠিকানা। অনেকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জ্ঞান হারাচ্ছেন নিহতদের স্বনজরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত ৩ প্রাবাসির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ী রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরীহাটে। সে ওই এলাকার আলি হোসেন সওদাগরের বাড়ীর আব্দুস সোবহানের পুত্র এনামুল হক। এ ঘটনায় অগ্নিদগদ্ধ হয়ে নিহত হন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল গ্রামের আব্দুশ শুক্কুর, সেলিম উদ্দিন নামের দুজন এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়।

এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধিন রয়েছেন, উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বদুমুন্সি পাড়ার দেলামিয়া পুত্র ইসমাঈল, বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচঁখাইন দরগাহ বাড়ীর আবসার ও তার ছেলে রোমান, নোয়াপাড়া পথেরহাটের নেছার আহমদের পূত্র আজম, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নুর আহমদ সওদাগরের বাড়ীর ছগির আহমদের পুত্র ফারুক, বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন দরগাহ বাড়ীর নুর আহমদ মাস্টারের পুত্র মহিউদ্দিন তার ভাই ইসমাইল (৪০)। উল্লেখ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীর শিল্পনগরী মোসাফফাহ ৭নং প্রথম গলিতে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ১০ জনের লাশ আবুধাবি শেখ খলিফা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। তাদের ডিএনএ টেস্ট করে পরিচয় সনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহতদেরকে আবুধাবির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত কয়েকজন জানান, ‘ওই ভবনের নিচে রেস্টুরেন্ট ও গাড়ির টায়ারের দোকানের উপরে বাসস্থানে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আবুধাবী দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর আমান উল্লাহ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানান যায়, ওখানে বসবাসরত কয়েকজন ভারতীয় নাগরিগ ও বেশির ভাগ বাংলাদেশী চট্টগ্রাম রাউজানের বাসিন্দা ছিলেন। আহতদেরকে আবুধাবী বিভিন্ন হাস্পাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গাড়ীর টায়ার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে অনেকে জানান।

দূতাবাস জানিয়েছেন ৩ জন নিখোঁজ এর খবর নিশ্চিত করেছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল গ্রামের আব্দুশ শুক্কুর, সেলিম উদ্দিন ও রাউজান নোয়াপাড়া আজাদের ছেলে এনামুল হক। আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জানান, নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এই বিল্ডিং এ বসবাস রত ৩ জন বাংলাদেশী নিখোঁজ থাকার কথা স্বীকার করেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল গ্রামের আব্দুশ শুক্কুর, সেলিম উদ্দিন ও রাউজান নোয়াপাড়া আজাদের ছেলে এনামুল হক। বাকিদের পরিচয় পাওয়া গেলে জানানো হবে সিংকঃ মোহাম্মদ ইমরান রাষ্ট্রদূত আবুধাবী বাংলাদেশ দূতাবাস আহত ও নিহতদের দেখতে গিয়ে প্রবাসী কমিনিউটি নেতারা তাদের পরিবাবের প্রতি সম্বেদনা জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার ঘোষণা দেন। ইফতেখার হোসেন বাবুল আবুধাবী কমিনিউটি নেতা।



মন্তব্য চালু নেই