আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে

নগরের আবাসিক এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ অননুমোদিত এবং অনুমোদিত সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছয় মাসের মধ্যে সরানোর কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ হচ্ছে গেস্ট হাউজ ও বারও।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকে একথা বলা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. সফিউল আলম সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি জানান, ‘নগর এলাকার রাস্তার পাশে আবাসিক প্লটে ও ভবনে রেস্টুরেন্ট, বারসহ নানাবিধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনাজনিত সমস্যা নিরুপণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদকে অবহিত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এর প্রেক্ষাপটে বর্ণনা করে সচিব আরো বলেন, ‘আমাদের দেশের নগর এলাকার আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানোয় অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র, পূর্ত, এলজিআরডিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সমস্যা নিরসনে সুপারিশ বা প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা আজ এই প্রস্তাবনা দিয়েছে।’

প্রস্তাবনাগুলোতে একমত হয়েছেন মন্ত্রিসভাও। প্রস্তাবনাগুলো হল, আবাসিক এলাকার ভবনের বেসমেন্টে শুধু গাড়ি পার্কিং স্থান থাকবে, বার লাইসেন্স বাতিল করতে হবে, কোনো গেস্ট হাউজ থাকতে পারবে না, আর কোনো ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকবে না।

তিনি আরো জানান, অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিগগিরই প্রতিষ্ঠান সরাতে হবে। আর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলোচনা করে সময় দেয়া হবে। তবে একসময় আবাসিক এলাকা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানমুক্ত হবে।



মন্তব্য চালু নেই