শামসুদ্দিন চৌধুরীর লেখা রায় গ্রহণ করেননি প্রধান বিচারপতি

আবারো শুনানিতে চূড়ান্ত রায় হওয়া ১৬৭ মামলা

অবসরের পর আপিল বিভাগের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা ১৬১টি রায় ও আদেশের একটিও গ্রহণ করেননি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। স্বাক্ষর বিতর্কের কারণে বিচারপতি মানিকের অধীনে থাকা এই ১৬১টি মামলা পুনঃশুনানি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পুনঃশুনানি হবে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের অধীনে থাকা ছয়টি মামলাও।

আগামী সোমবার (২ মে) থেকে পৃথক বেঞ্চে মামলাগুলোর পুনঃশুনানি হবে বলে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এই দুই বিচারপতির বেশ কয়েকটি মামলা পর্যায়ক্রমে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রেখে পুনরায় শুনানি করা হবে।’

জানা গেছে, স্বাক্ষর বিতর্ক ও অস্পষ্টতার কারণেই বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর লেখা ১৬১টি রায় ও আদেশের একটিও গ্রহণ করেননি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তবে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগ, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই এমন সিদ্ধান্ত।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা জানিয়ে দেন, অবসরের পর বিচারপতিদের তিনি আর রায় লিখতে দেবেন না। আর তাই সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হকের রায় না লিখে ফেরত দেয়া ছয়টি মামলাও আবার আপিল বিভাগে শুনানি হবে।

গত ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তিতে জানান, অবসর গ্রহণের পর রায় লেখা আইন ও সংবিধান পরিপন্থি। এরপর শুরু হয় বিতর্ক। সবচেয়ে আলোচনায় আসে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর সাথে রায় লেখা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বন্দ্ব।

এরপর তীব্র সমালোচনায় ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি শামুসুদ্দিন চৌধুরী ৬৫টি রায় ও নথি জমা দেন। ওইদিন তিনি দাবি করেন, আর কোনো রায় তার হাতে নেই।

এদিকে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয় জানায়, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী যেসব রায় লিখে জমা দিয়েছিলেন তার অনেককিছুই অস্পষ্ট। সেই সঙ্গে শামসুদ্দিন চৌধুরীর যেসব বেঞ্চে অপর বিচারপতিরা ছিলেন, তারাও ওইসব রায়ে স্বাক্ষর করেননি। আর সে কারণেই এসব মামলা পুনরায় শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির পদ থেকে মোজাম্মেল হোসেন বিদায় নিয়েছেন ২০১৫ সালে। এর পর আপিল বিভাগের বিচারপতির পদ থেকে বিদায় নেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।



মন্তব্য চালু নেই