আবারো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ

নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক ছাত্র নিহতের দুই মাস না পেরোতেই আবারো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ।আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ ‘ভিক্স’ ও ‘সিএফসি’ নেতাকর্মীদের মধ্যে রোববার ভোরে সংঘর্ষ শুরুর পর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।গোলাগুলিতে ছাত্র নিহতের পর দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা ছাত্রলীগের ‘ভিএক্স’ গ্রুপের কর্মীরা সকাল ৬টার দিকে শাহজালাল হলে গেলে উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাশের শাহ আমানত হল থেকে‘সিএফসি’ গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হলে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয় বলে পুলিশ জানান। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের ধাওয়া দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন সহকারী প্রক্টরও রয়েছেন।এতে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

রোববার বেলা ১১ টার দিকে শিক্ষক ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত শাহ আমানত হল থেকে ১১ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাদের আটক করা হয়।আটককৃতরা ছাত্রলীগ সমর্থিত শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন চ্যুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার (সিএফসি) এর কর্মী।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (উত্তর) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘রোববার সকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।’ এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৯ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শাহজালাল হলে তল্লাশি চালিয়ে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) ৫৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত প্রায় ৫৫ জন ভিএক্স কর্মীকে হাটহাজারি থানায় নেওয়া হয়। দুটি পুলিশ পিকআপ ও একটি ভ্যানে নেওয়া হয় তাদের। এ সময় ভিএক্স কর্মীদের শ্লোগান দিতে দেখা যায়। আটকদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী তাপস সরকার হত্যা মামলার কোন আসামী আছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানান হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল।



মন্তব্য চালু নেই