মানবতাবিরোধী অপরাধ:

আপিলেও মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে মীর কাসেমের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায় হচ্ছে না আজ।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে দেয় আপিল বিভাগ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আলবদর কমান্ডার ও জামায়াতের শুরা সদস্য মীর কাসেম আলীকে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ছয়জন (১১ নম্বর অভিযোগ) এবং একাত্তরের শেষদিকে একই স্থানে নির্যাতনের পর রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে হত্যার অভিযোগ (১২ নম্বর) দু`টি প্রমাণিত হওয়ায় মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধকালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরদিন মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে আটক করে আলবদর সদস্যরা। ২৮ নভেম্বর মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদররা তাঁকে দিনভর নির্যাতন করে। নির্মম অত্যাচারে জসিম মারা যান। পরে নিহত আরও পাঁচজনের সঙ্গে জসিমের মরদেহ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ১২ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, একাত্তর সালের নভেম্বরের কোনো একদিন হাজারী লেনের বাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে আটক করে মীর কাসেমের নেতৃত্বাধীন আলবদর সদস্যরা। ওই সময় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হাজারী লেনের ২৫০ থেকে ৩০০ ঘরে আগুন দেওয়া হয়। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে আলবদররা ছেড়ে দিলেও রঞ্জিত ও টুন্টুকে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন ও পরে হত্যা করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই