আপনি কি সঙ্গীহীন? তবে আপনি সম্ভবত ‘প্রতিবন্ধী’!

সম্পর্কের জালে জড়ানো নয়, বরং নিজের মতো থেকে জীবনের মজা নাও। বর্তমান যুব সমাজের এটাই ট্রেন্ড। বিশেষ করে শহুরে জীবনের উদ্দামতায় এই ধরনের প্রবণতার ঝোঁক বাড়ছে বলেই বিভিন্ন সমীক্ষায় ধরা পড়েছে। এমন প্রবণতার প্রতিফলন ঘটেছে বলিউডের একাধিক ছবিতেও। যার ফসল ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘তমাশা’, ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’-র মতো ছবি। আজকালকার ছেলেমেয়েরা যতই ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’-র মতো আচরণের চেষ্টা করুক না কেন তাতে হাওয়া দিতে রাজি নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’।

‘হু’ এবার বিশেষ নির্দেশিকা আনতে চলেছে। এই নির্দেশিকার জেরে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা বেশিদিন একা থাকলেই তাঁদেরকে ‘ডিসএবেল’ বা ‘ক্ষমতাহীন’ বলে তকমা দেওয়া হবে। অর্থাৎ সঙ্গীহীন থাকা যাবে না। এমনকী, বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলারাও যদি ১ বছরের বেশি সন্তানহীন থাকেন তাহলেও তাদের ‘ডিসএবেল’ বলে প্রতিপন্ন করা হবে। আসলে ‘ডিসএবিলিটি’-র ভাবনাটাকে আরও বিস্তৃত করতে চাইছে ‘হু’। এর জন্য এই নয়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে একটি রিপোর্টও তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, যদি কোনও পুরুষ বা মহিলা সিঙ্গল ফাদার বা মাদার হতে চান অথবা কোনও সমকামী দম্পতি সন্তান দত্তক নেন, তবে তাঁরা এই ‘ডিসএবেল’ তকমার আওতায় পড়বেন না।

আসলে একজন মানুষের ‘রাইট টু রিপ্রোডিউস’-এর অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতেই এই নয়া নির্দেশিকা আনা হচ্ছে বলে ‘হু’ থেকে জানানো হয়েছে। রিপ্রোডাকটিভ এথিকস-এর ডিরেক্টর জোসেফিন কুইনটাভাল্লে ‘হু’-এর নয়া নির্দেশিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে এই ধরনের নীতি বানিয়ে ‘বায়োলজিক্যাল ইন্টারকোর্স’-এর গুরুত্বকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। এই ধরণের নিয়মে সমাজের কিছু উচ্চবৃত্ত মানুষ লাভবান হতে পারে বলেও দাবি করেছেন জোসেফিন।

অন্যদিকে, ‘হু’-এর ডক্টর ডেভিড অ্যাডামসন-এর দাবি, ‘‘এই নয়া নির্দেশিকায় একজন তাঁর ‘রিপ্রোডিউস’ ক্ষমতার অধিকার পাবেন। এটা মানবজাতির যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক স্তরে এর একটা নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে, যা মেনে চলতে বাধ্য প্রতিটি দেশ।’’



মন্তব্য চালু নেই