আপনি কি জানেন এইডস ছড়ানোর সঠিক কারণ! (ভিডিও)

বয়স, জাতি, লিঙ্গ, সামাজিক, অবস্থান নির্বিশেষে সবাই এইচআইভি দ্বারা সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারে। এইচআইভি মানুষের শরীরে চার ধরনের তরল পদার্থের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।

এগুলো হচ্ছেঃ রক্ত, বীর্য, যোনিরস, এবং মাতৃদুগ্ধ। যদি এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষ বা মহিলার শরীরের তরল পদার্থ কোন সুস্থ ব্যক্তির রক্তে প্রবেশ করে তবেই তিনি এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন।

১. এইচআইভি আক্রান্ত সঙ্গীর সাথে অনিরাপদ যৌনমিলন এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান উপায়- এই যৌনমিলন, যোনিপথ, মুখগহ্বরসহ যেকোনো ধরনের হোক না কেন।

২. এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সূচঁ ও সিরিঞ্জ পরিশোধিত না করে ব্যবহার করলে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে। এই সূচঁ নেশা জাতীয় ওষুধ, সাধারণ ওষুধ, উল্কি বা ত্বকচ্ছেদসহ যে কোন কারণেই ব্যবহার করা হোক না কেন এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে।

৩. গর্ভাবস্থায় এইচআইভি বহনকারী মা তার গর্ভস্থ সন্তানকে এইচআইভি সংক্রমণ করতে পারে। গর্ভস্থ সন্তান জন্মের সময় এবং জন্মের পর মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।

৪. রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমেও এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে, যদি দানকৃত রক্ত পরীক্ষিত না হয়।

৫. মাদকদ্রব্য গ্রহণ অনেক কারণে বিপদজনক তবে এইচআইভি সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়ংকর পরিণতি। এইচআইভি সংক্রমণের জন্য সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে সরাসরি মাদকদ্রব্য শরীরের রক্তে প্রবেশ করানো। এই পদ্ধতি অনিরাপদ যৌন মিলনের চাইতেও বেশী বিপদজনক।

এই কথা মনে রাখা দরকার এইচআইভি পজিটিভ এর ভাইরাস বহনকারী অনেক ব্যক্তি বহু বছর যাবত অসুস্থ নাও হতে পারেন। অনেকের শারীরিক কোন রোগ উপসর্গ দেখা দেয় না।

এইচআইভি ভাইরাস দেহে দীর্ঘকাল অবস্থান করলে ধীরে ধীরে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে (Immune System) নিঃশেষ করে দেয়। দেহে এইডস শনাক্তের পর অল্প সংখ্যক মানুষ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করে। আবার অধিক সংখ্যক মানুষ বেশ কয়েক বছর জীবন অতিবাহিত করার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।



মন্তব্য চালু নেই