আপনি কি “একতরফা” প্রেম করছেন? বুঝে নিন ৪ টি লক্ষণে

সম্পর্কের মধ্যে মাঝে মাঝে ছোটোখাটো ঝগড়া খুনসুটি থাকা তেমন খারাপ কিছুই নয়। দুজন মানুষ একসাথে থাকলে একটু তো মতে অমিল হবেই। ভালোবাসার সম্পর্ক হোক কিংবা দাম্পত্য জীবনই হোক না কেন ছোটোখাটো অনেক ঝামেলাই সম্পর্কে আসতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে সব চাইতে খারাপ যে কাজটি হতে পারে তা হলো এক তরফা ভালোবাসা। হতে পারে দুজনের মতের মিলের কারণেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, কিন্তু হঠাৎই কোনো কারণে একজন সম্পর্কের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়লেন।

এক তরফা ভালোবাসার কোনো ভবিষ্যৎ থাকে না। একতরফা ভালোবাসায় যিনি সম্পর্কটি ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেন কষ্টটা শুধু তারই হয়। তাই একতরফা ভালোবাসার সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা না করাই ভালো। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনি একতরফা ভালোবাসার সম্পর্কে আছেন? তাহলে চিনে নিন সেই লক্ষণগুলো যে ৪ টি লক্ষনে বুঝে নেবেন আপনি একটি একতরফা সম্পর্কে আছেন।

আপনিই সকল কিছুর খোঁজ খবর রাখেন
মনে করে দেখুন তো আপনার সঙ্গীটি সারাদিনে আপনাকে আপনার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন কিনা। প্রত্যেকবার কি আপনিই প্রথমে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করেন তিনি কেম্ন আছেন, কি করছেন, খেয়েছেন কিনা ইত্যাদি। যদি তাই হয় তাহলে আপনি অবশ্যই একটি একতরফা সম্পর্কে আছেন। কারণ ভালোবাসার সম্পর্কে দুজনের সমান উপস্থিতির প্রয়োজন আছে। হতে পারে সে ব্যস্ত থাকে নানা সময়ে। কিন্তু তিনি যদি আসলেই আপনার সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চান তবে আপনার ১০ বার যোগাযোগের জবাবে অন্তত একবার আপনার খোঁজ নেবেন।

আপনাদের খুবই কম দেখা হয়
অনেক দূরত্বের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে খুব কম দেখা হওয়া কিংবা একেবারেই দেখা না হওয়া। আপনার সঙ্গী যদি আপনার থেকে খুব বেশি দূরে না থাকেন এবং তারপরও আপনাদের মধ্যে দেখা অনেক কম হয়ে থাকে তাহলে তা নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। দেখা না করার কি কারণ থাকতে পারে? ভেবে দেখুন তো কার উদ্যোগে শেষবার আপনাদের দেখা হয়েছিল। যদি আপনার উদ্যোগে হয় এবং আপনার দেখা করার ইচ্ছেটা আপনার সঙ্গীর অনীহার জন্য বাদ দিয়ে থাকেন তবে এটি একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। কারণ যারা পরস্পরকে ভালোবাসেন তাদের মধ্যে দেখা করার জন্য এক ধরণের টান থাকে যা আপনাদের সম্পর্কে নেই।

আপনাদের মধ্যে কথাবার্তা খুব কম হয়
সম্পর্কের একটি পর্যায়ে যখন সব কথা বলা শেষ হয়ে যায় তখন আর তেমন কিছুই বলার থাকে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কথাবার্তা একেবারে কমে যাবে। যারা পরস্পরকে ভালোবাসেন তাদের মধ্যে কথা বলার জন্য কোনো ঘটনার প্রয়োজন হয় না। তারা সারাদিনে কি কি করলেন তা নিয়েই গল্প করে সময় কাটিয়ে দিতে পারেন। ভেবে দেখুন তো আপনার সঙ্গী কি এই ধরণের কথাবার্তা বলতে একেবারেই ইচ্ছুক নন কিনা। আপনি নিজে থেকে যোগাযোগ করে তাকে প্রশ্ন না করার আগ পর্যন্ত তিনি কি কিছুই বলেন না, কিংবা আপনার সম্পর্কেও জানতে চান না? তাহলে অবশ্যই আপনি একটি একতরফা সম্পর্কে আছেন।

আপনার সঙ্গী আপনাকে তার বন্ধুবান্ধবের চাইতেও কম প্রাধান্য দেন
সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্থান অনেক বড় একটি অংশ। আপনি আপনার সঙ্গীর কাছে কোন অবস্থানে আছেন তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে। একজন মানুষের কাছে পরিবার পরিজন, ভালোবাসার মানুষ এবং বন্ধুবান্ধবের জন্য আলাদা স্থান রয়েছে। কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যখন ভালোবাসার মানুষটির মূল্য নিজের বন্ধুবান্ধবের চাইতে কমে যায়। অনেকে বলতে পারেন কিছুদিনের ভালোবাসার মানুষের জন্য বন্ধুবান্ধব ছাড়া যায় না। কিন্তু এখানে বন্ধুবান্ধব ছেড়ে দেয়ার কথা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে মূল্যায়নের। আপনাকে যিনি ভালোবাসেন তিনি স্বভাবতই আপনার কাছে সময় চাইবেন এবং এটাও চাইবেন আপনি তাকে আর দশজনের চাইতে বেশি প্রাধান্য দিন। এতে দোষের কিছুই নেই। আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা আপনার বন্ধুবান্ধব ছাড়তে বলছেন না, শুধু তার কথার প্রাধান্য একটু বেশি দিতে বলছেন। যদি আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনাকে তার বন্ধু বান্ধবের চাইতেও কম প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তবে এটি একটি লক্ষণ।



মন্তব্য চালু নেই