আপনি কি একটুতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন? জেনে নিন সুস্থ থাকার উপায়

ক’দিন হলো বেশ শীত পড়েছে৷ যদিও ক্যালেন্ডার বলছে জার্মনিতে আজ থেকে শীতকালের শুরু। ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেরই অসুখ-বিসুখ লেগে থাকে৷ তাই সব ঋতুতে সুস্থ ও আনন্দে থাকার কিছু টিপস পাবেন এই প্রতিবেদনে৷

খাবারের তালিকায় রঙিন সবজি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় তাজা রঙিন সবজি রাখুন, কারণ এসবে থাকে প্রচুর উদ্ভিদ উপাদান৷ এই উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নানা অসুখ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।

শক্তিদায়ক ভিটামিন: শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ভিটামিনযুক্ত ফলের জুড়ি নেই৷ তবে সেসব ফল নিজের বা কাছাকাছি এলাকার হলেই ভালো, কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দূর থেকে আমদানী করতে হয় বলে কাঁচা ফল বা সবজির পুষ্টিগুণ কমে যায়।

মাংস খাবেন, তবে প্রয়োজনের বেশি নয়: সপ্তাহে ১ থেকে দুই দিন মাংস খেলেই যথেষ্ট। মাংসে থাকা জিঙ্ক এবং আয়রন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় ভূমিকা রাখে৷ তবে হ্যাঁ, খাওয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে সেই মাংসের গুণগত মান যেন ভালো হয় অর্থাৎ সস্তায় পাওয়া যে কোনো মাংস নয় কিন্তু!

ময়দার পরিবর্তে ভুষিযুক্ত আটা: সাদা আটায় সুগারের মাত্রা বেশি থাকে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়৷ তবে সাদা আটার চেয়ে আঁশযুক্ত খাবার বা ভুষিযুক্ত রুটি ধীরে ধীরে রক্তে প্রবেশ করে৷ তাই যতটা সম্ভব সাদা আটা, চাল বা শর্করা জতীয় খাবার কম এবং আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাবেন।

হাঁটা-চলা: নিয়মিত মুক্ত বাতাসে হাঁটা-চলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় রাখে৷ তাই সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন ৩০/৩৫ মিনিট হাঁটা, চাইকেল চালানো বা ব্যায়ামের মতো যে কোনো কিছু করা যেতে পারে।

প্রতিদিন ঠাণ্ডা ও গরম পানির ঝাপটা: প্রতিদিন গোসল শেষে শরীরে হিম শীতল পানির শাওয়ার নিন, তারপর আবার গরম পানির ঝাপটা। এভাবে দুইবার করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে৷ প্রথমে হাত এবং পায়ে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে তবে গরম আর ঠান্ডা পানির এই ‘খেলা’ শুরু করতে হবে যাতে শরীর আস্তে আস্তে শীত সহ্য করতে পারে।

ঘুম অত্যন্ত জরুরি: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। রাতে ঘুমের সময় শরীরের ইমিউন সিস্টেম খুব সক্রিয় থাকে এবং তখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরের প্রতিরক্ষা কোষগুলো বৃদ্ধি পায়৷ শরীরকে কোনো রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ও শরীরে নতুন শক্তি সঞ্চয় করতে ঘুম খুবই জরুরি৷ একজন সুস্থ মানুষের রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন৷

নিজের জন্য কিছুটা সময়: চাকরি, সংসার, সন্তান সবকিছু মিলিয়ে এ যুগে মানুষের মানসিক চাপের শেষ নেই। এ কারণে শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল বেড়ে যায়, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমের সক্রিয়তাকে দমন করে৷ সেজন্য যেভাবেই হোক না কেন দিনে অন্তত কিছুটা সময় নিজের পছন্দ বা ভালোলাগার মতো কিছু করুন।-DW



মন্তব্য চালু নেই