আপনার ২০০০-এর নোটটা আহমেদাবাদের পানওয়ালার মত নয় তো?

দেশজুড়ে কালো টাকা এবং জাল নোটের রমরমা রুখতে পদক্ষেপ করেছিল সরকার। রাতারাতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল ৫০০-১০০০ এর নোট। পুরনো সে নোটের বদলে বাজারে এসেছে ২০০০ এবং নতুন ৫০০ টাকার নোট। সরকারের তরফে এও জানানো হয়েছে যে এই টাকা জাল করা একপ্রকার অসম্ভব। সে সব ঘটনার পর একটা মাসও পার হয়নি। আহমেদাবাদের এক পানওয়ালার কাছে এল ২০০০ টাকার জাল নোট। এবং সেই নোট ভাল করে না দেখলে আসল না নকল তা যাচাই করা মুশকিল।

ভানস বারোত। আহমেদাবাদে একটি পানের দোকান চালায় সে। বারোত জানায়, কিছুদিন আগে এক ক্রেতা তাঁকে ২০০০ টাকার একটি নোট দিয়ে চলে যায়। জলছাপ থেকে আরবিআই-এর লোগো, সমস্ত বৈশিষ্ট খতিয়ে দেখার পরেই ওই নোট গ্রহণ করেন বারোত।

পরে দোকানের মাল সরবারহকারীর কাছে ওই টাকাটি দিলে তিনি ওই টাকা নিতে অস্বীকার করেন। বারোতের সন্দেহ হওয়ায়, বাড়ি গিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া একটি নোটের পাশে ওই নোটটিকে রাখলে পার্থক্য বুঝতে পারেন তিনি। বারোত জানিয়েছেন, আসল নোটের থেকে ওই নোটটি আকারে একটু ছোট। কাগজের মানও আসল নোটের থেকে খারাপ। তবে একঝলক দেখে ওই নোটটিকে কোনওদিন জাল বলে মনে হবে না কারোরই।

এরপরই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে নোটটি জমা দেন তিনি। একটি চিঠিও লেখেন আরবিআই কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, নোটের জাল আটকাতে কর্তৃপক্ষকে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। বারোতের জমা দেওয়া নোটটি যে জাল, তা ব্যাঙ্কের তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।

২০০০ টাকার নোট বাজারে আসার পর তা জাল হওয়ার দু-একটি ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে টাকা জাল ২০০০ টাকার নোট, এর আগে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সব মহলে। তাহলে, মোদী যে কারণে পুরনো টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছিলেন সেই কারণটাই আবার ফিরে আসতে চলেছে কি?



মন্তব্য চালু নেই