আপনার সঙ্গীটি কি আপনার জন্য সঠিক? জেনে নিন ৫টি উপায়ে

জীবনের চলার পথে কতজনকেই তো ভাল লাগে। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ স্বাভাবিক এবং দোষের কিছু নয়। কিন্তু ভালো লাগলে এমনকি ভালবাসলেও সবার সাথে সম্পর্কে জড়াই না আমরা। আবার এমনও হয়, সম্পর্কের এক পর্যায়ে গিয়ে আমরা বুঝতে পারি, এই সম্পর্কটি বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। কীভাবে বুঝবেন, আপনার সম্পর্কটি আপনার জন্য সঠিক কিনা? মনোবিজ্ঞানীরা তেরেসা ই ডি ডোনাডো তার গবেষণা অনুযায়ী তুলে ধরেছেন এই উপায়গুলো, যেগুলো বাতলে দেবে পথ।

১।কতখানি সমতা অনুভব করেন আপনি?
আপনার সঙ্গীটি কি আপনার চোখে অনেক উপরে? এতই শ্রদ্ধা করেন তাকে যে কোনভাবেই নিজের সমকক্ষ ভাবতে পারছেন না? আবার উল্টোটাও হতে পারে। হয়ত আপনার সঙ্গীকে বোকাই মনে হয় আপনার। প্রায়ই তার নির্বোধ আচরণে বিরক্ত হন আপনি। আবার হয়ত আপনার সঙ্গী আপনাকে সারাক্ষণ হেয় প্রতিপন্ন করছে। আপনার সিদ্ধান্তকে উড়িয়ে দিচ্ছে। ধরেই নিচ্ছে আপনি কিছু বোঝেন না। সম্পর্কে সমতার অনুভূতি খুব প্রয়োজন। খেয়াল করুন আপনার সঙ্গীর সাথে সেই সামঞ্জস্যতা অনুভব করেন কিনা।

২।বন্ধুত্ব
বন্ধুত্ব একটি ভাল সম্পর্কের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। আপনার সঙ্গী যদি আপনার ভাল বন্ধু হন তাহলে তার সাথে ভাগাভাগি করতে পারবেন আপনার মনের গভীর কোন কষ্টের কথা। হয়ত এমন কোন ঘটনা যা আপনাকে অনেক আহত করেছে, অথবা সেই সময় অনেক হীনমন্য বোধ করেছেন আপনি। বন্ধু কিন্তু বোঝার চেষ্টা করবে আপনাকে। সে কাছে থাকলে নিরাপদ বোধ করবেন আপনি। এর মানে এই নয় যে, আপনার সবচেয়ে ভাল বন্ধুটি আপনার প্রেমিক হবে। এর মানে হল, আপনার প্রেমিক/প্রেমিকাও যেন বন্ধু হয়, শুধু স্বামী বা স্ত্রীর ভূমিকায় থাকলে সম্পর্ক অনেক ফর্মাল হয়ে যায়।

৩।আপনারা কি একজন আরেকজনকে সাহায্য করেন?
ভাল সম্পর্ক পারস্পারিক বোঝাপড়ায় এগিয়ে চলে। আপনারা উভয়ে ছাত্র-ছাত্রী হতে পারেন। হয়ত এখনও পড়াশোনা করছেন। আবার আপনারা হয়ত দুজনেই চাকরী খুজছেন/করছেন। পরস্পরকে এগিয়ে নিতে আপনারা কি একে অপরকে সাহায্য করেন? দুজনে একই সাথে ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে চান কি? বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে এটি খুবই জরুরী। অনেক সম্পর্কে দেখা যায়, ক্যারিয়ারে সমতা না থাকা দাম্পত্যে কলহের সৃষ্টি করে, হতাশা, হীনমন্যতা তৈরি করে।

৪। তিনি কি সবসময় আপনার পাশে দাঁড়াবেন?
এমন অনেক মুহুর্ত জীবনে আসতে পারে যখন কেউ আর নেই পাশে! কেউ বলছে না, ‘তুমি সঠিক। যা করছো কর, আমি তো আছি!’ একটা মানুষকে তখন আমরা অন্তত কাছে পেতে চাই, চাই সে আমাদের সাপোর্ট করুক, সাহস দিক। প্রয়োজনে পারিপার্শ্বিকতার সাথে লড়ে যাক। এই মানুষটি আমাদের জীবনসঙ্গী। ভেবে দেখুন, এতটা ভরসা করতে পারছেন কিনা সামনের মানুষটির উপর।

৫। আপনার মন কি বলে?
সবশেষ কথা তারই। সে হল আপনার মন। আপনি যাকে ভালোবাসেন তার প্রতি না চাইলেও কিছু অন্ধ আবেগ কাজ করে আপনার ভেতরে। অনেক ভুল ক্ষমা করে দেন, শুধু ভালোবাসেন বলেই। অনেক অন্যায় আবদার রাখেন, নিজের কষ্ট হলেও অনেক কিছু মেনে নেন, ভালোবাসেন বলেই। তবু, বড় সিদ্ধান্তটি নেওয়ার আগে নিরপেক্ষ অবস্থানে দাঁড়িয়ে একটু ভাবুন, ইনিই কি সেই যার জন্য অপেক্ষা করছিলেন? কোন মানুষই একদম পারফেক্ট হয় না। আমাদের সব চাওয়া মেলেও না। পারস্পারিক সম্পর্কে প্রয়োজন ভাল একটি মনের, যে আপনার আবেগের দায়িত্ব নেবে, আপনিও নেবেন তার সাথে সম্পর্কের সমস্ত দায়ভার। তাই নিজেকেই প্রশ্ন করুন।



মন্তব্য চালু নেই