আপনার যে ১০টি বিষয় আপনার বসকে বলবেন না

১. ভবিষ্যতে কখন আপনি ওই কম্পানি ছেড়ে যাবেন সে বিষয়ক পরিকল্পনা।

২. আপনার বিস্তারিত অর্থনৈতিক স্ট্যাটাস। আপনার যদি সম্পদ থাকে তাহলে তা আপনাকে কম বেতন দেওয়ার জন্য একটি ভালো কারণ হতে পারে।

৩. আপনার ব্যক্তিগত রোমান্টিক সম্পর্কের উত্থান-পতন। বিষয়টি সব সময়ই নিজের কাছে রাখুন।

৪. অন্য কর্মীদের বা কম্পানির ব্যাপারে আপনার অভিযোগ ও নেতিবাচক অনুভূতি।

৫. আপনার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি। যদি বাসস্থান বা ছুটি দরকার না হয় তাহলে আপনার রোগ এবং চিকিৎসার পরিকল্পনা গোপন রাখুন।

৬. আপনার বস বা বসের বস অথবা কম্পানির যে কারো সম্পর্কে কোনো গুজব শুনে থাকলে তা কখনোই আপনার বসের কাছে বলবেন না।

৭. কম্পানির নেতৃস্থানীয়রা কী পদক্ষেপ নিতে পারেন সে সম্পর্কে আপনার পূর্বানুমান। তারচেয়ে বরং কী ঘটে তার জন্য অপেক্ষা করুন। আপনার প্রেয়সী, ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা স্বজনদের সঙ্গে আপনার পূর্বানুমানগুলো বলুন- কিন্তু বসের সঙ্গে নয়।

৮. চাকরির পাশাপাশি আপনার কোনো ব্যবসা বা পার্ট-টাইম চাকরি থাকলে সে সম্পর্কে বসকে বলবেন না। কারণ এতে আপনার চাকরি চলে যেতে পারে অথবা আপনাকে আপনার ব্যবসা এবং পার্ট-টাইম চাকরি বন্ধ করতে হতে পারে। কেননা এখনো এমন অনেক নিয়োগকর্তা আছেন যারা তাদের কর্মীদেরকে তাদের কম্পানি ছাড়া আর কোথাও কাজ করতে দেন না। আপনি যদি এমন কোনো কম্পানিতে কাজ করে থাকেন তাহলে সাবধান হয়ে যান বা নতুন চাকির খুঁজুন। তবে এখনকার বেশির ভাগ নিয়োগকর্তারাই তাদের কর্মীদেরকে তাদের কম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা বা পার্ট-টাইম চাকরি করার সুযোগ দেন।

৯. কোনো সহকর্মীর সঙ্গে আপনার বিরোধ থাকলে তা বসবে বলবেন না। যদি না তা বড় কোনো সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং সমাধানের জন্য আপনার বসের সহায়তা দরকার হয়।

১০. আপনার দৈনন্দিন হতাশাগুলো। প্রতিদিনই আপনাকে অনেক ভার সামলাতে হয়। এর মধ্যে আপনার বসও রয়েছেন। আপনার বসকে আপনার বিজয় বা অর্জনগুলো সম্পর্কে বলুন। আর যখন বসের সাহায্য দরকার হবে তখন তার কাছে তা চান। মনে রাখবেন যেকোনো চাকরিতেই প্রতিদিন কিছু না কিছু হতাশাজনক বিষয় থাকে। আর আপনি যত বেশি হতাশার মোকাবিলা করবেন ততই শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।



মন্তব্য চালু নেই