আপনার কৌশলে হোক সহজ ইন্টারভিউ

লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করার আশা থাকে সব শিক্ষার্থীর। এসময় তাকে চাকরির প্রস্তুতি পড়া সম্পূর্ন করতে আবারও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। সব কষ্ট শেষে নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করাটা থাকে একমাত্র চাওয়া। সেটাও পার করা হয়তো সম্ভব, কিন্তু ইন্টারভিউ? এটার কথা মনে হলে বুকের ভেতর শুরু হয় তোলপাড়। ইন্টারভিউ বোর্ডে জানা উত্তর ভুল করা, কথা জড়িয়ে ফেলা, সবশেষে স্নায়ুচাপ বাড়িয়ে বিমর্ষ হয়ে যাওয়াটা চাকরি প্রার্থীদের কাছে স্বাভাবিক ঘটনা। ফলে দেখা যায়, সারাজীবনের সব কষ্টই বৃথা হয় ইন্টারভিউ এর পাঁচ মিনিট সময়ে।

একটু সচেতন হলে আপনিও এড়াতে পারেন এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আপনার কৌশলে হতে পারে একটি সহজ ইন্টারভিউ।

সাজ-পোশাক

চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডে যাওয়ার আগে ফরমাল পোশাক পরার চেষ্টা করবেন। নারী হলে হালকা রঙের শাড়ি বা থ্রি-পিসের সঙ্গে ম্যাচিং অনুষঙ্গ নিতে ভুলবেন না। তবে সব কিছুই হালকা হওয়া উচিৎ। খুব জমকালো কিছু পরবেন না। মেকআপ, অলংকার হবে মার্জিত ধরনের। পুরুষরা পরবেন ফরমাল শার্ট-প্যান্ট। টাই বা স্যুট পরতে পারেন। চাকরিটি সেলস বা মার্কেটিং হলে স্যুট-টাই যতটা জরুরি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্য পদে হলে ততটা নয়। লক্ষ্য রাখবেন পোশাকের রং যাই হোক, তা যেন আপনাকে মানায়। কাজেই পোশাক নির্বাচনে রুচির পরিচয় রাখুন।

প্রস্তুতি

ইন্টারভিউ এর আগে অবশ্যই প্রস্তুতি প্রয়োজন। কী প্রশ্ন আপনাকে করা হতে পারে, তা আগেই কারো কাছ থেকে ধারণা নিন। অভিজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে চাকরি সম্পর্কিত জ্ঞানের চর্চা করুন। এতে আপনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকবেন। ফলে প্রশ্নও সহজ লাগবে।

ইন্টারভিউশুরুর প্রশ্ন

প্রতিটি ইন্টারভিউতে নিজেকে উপস্থাপন করতে বলার রীতি আছে। তাই ৫ থেকে ৬ টি বাক্যে নিজেকে সংক্ষেপে বর্ণনা করার অনুশীলন করুন। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন, চাকরির পূর্ব-অভিজ্ঞতা ও সেখানে কোন বিশেষ অর্জন, এই চাকরির বিষয়ে আপনার আগ্রহের বিশেষ কারণ, আপনার সবচেয়ে বড় গুণ – এ জাতীয় কিছু অনুশীলন করুন। যা বলার, হাসিমুখে প্রশ্নকারীর চোখের দিকে তাকিয়ে বলবেন। আত্মবিশ্বাস দেখান প্রথম কথা থেকেই।

ভিত্তি

আপনি যে বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন, তার সঙ্গে যদি চাকরিটি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে অবশ্যই বেশ কিছু তাত্ত্বিক প্রশ্ন করা হবে। যদি আপনি ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হন, তাহলে ইন্টার্নশিপ বা রিসার্চ (শেষ বর্ষে যেটা করতে হয়েছে), তা নিয়ে কিছু পড়াশোনা করে রাখুন। আপনার থিসিস নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তাই সেটা একবার পড়ে রাখবেন। আপনি যদি চাকরিরত হয়ে থাকেন, তাহলে বর্তমান চাকরিতে কী করছেন, কাঙ্ক্ষিত চাকরির সঙ্গে তা কিভাবে সম্পৃক্ত – এ নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে। আপনি যদি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের চাকরি চান, সেক্ষেত্রে আপনার বহুমাত্রিক প্রতিভার কিছু উদাহরণ উপস্থাপন করুন।

যোগ্যতা

ইন্টারভিউ রুমে ঢোকার আগে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে হাসিমুখে গিয়ে দাড়াবেন। অনুমতি পেয়ে বসবেন। তারপর প্রশ্নকারী আপনাকে প্রশ্ন করলে নিজের যোগ্যতা মতে উত্তর দিতে থাকুন। মনে রাখবেন ভয় পেয়ে ঘাবড়ে যাবেন না। চাকরি পেতে আপনার স্বাভাবিক থাকাটা খুবই জরুরি।



মন্তব্য চালু নেই