আন্দোলনকারীরা ভ্যাট বিরোধী স্লোগানে রাঙিয়ে দিল গাড়িটি

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় গত কদিন যাবৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আরোপের বিরোধিতাকারীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে।

এতে শহর অচল হয়ে তীব্র জন ভোগান্তি সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই উষ্মা প্রকাশ করলেও আন্দোলন ব্যাপকতা লাভ করবার পর কোন ধরণের ভাংচুর বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করবার খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

কিন্তু আব্দুল্লাহ আল আমিন নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার একটি গাড়ির ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে আন্দোলনকারীদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ছবিতে দেখা গেছে, সাদা রঙের টয়োটা গাড়িতে অমোচনীয় রঙ দিয়ে লেখা হয়েছে ভ্যাট বিরোধী নানা শ্লোগান।

মি. আল আমিন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তিনি তার সদ্যজাত শিশু ও স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছিলেন।

পথিমধ্যে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনকারীরা তাদের পথ আটকায় এবং অমোচনীয় রঙ দিয়ে গাড়িটির সর্বাঙ্গে শ্লোগান লিখে দেয়।

দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গাড়িটিতে নতুন করে রঙ করাতে হবে এখন এবং এর জন্য গাড়ির মালিকের বেশ কিছু অর্থ গচ্চা যাবে।

ওই ছবিগুলো শেয়ার করে রফিকুল্লাহ রোমেল নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ছেলেগুলা ভাল আছে। ক্রিয়েটিভ, রোমান্টিক, কিউট গুণ্ডা। কি সুন্দর ভাংচুর না করে গাড়িটাকে সাজিয়ে দিল। একদম ব্র্যান্ডিং। আর দুষ্ট লোক হুদাই রাগ করে। সামান্য কিছু পার্মানেন্ট কালারের দাগ। না লাগলই কয়েক হাজার টাকা! জমিজমা তো আর বিক্রি করতে হচ্ছে না’।

তবে আবিদুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবহারকারী তার কমেন্টে বলেছেন, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রের কাজের জন্য আন্দোলনের ন্যায্যতাকে অস্বীকার করা ঠিক হবে না।

ঘটনাটি নজরে আনা হলে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ফারুক আহমাদ আরিফ বিবিসিকে বলেন, ‘এটা পৃথিবীতে একমাত্র আন্দোলন যেখানে কোনও ভাংচুর নেই, কটূক্তি নেই। আমরা শুধু চাই ভ্যাট প্রত্যাহার করা হোক, তাহলেই আমরা রাস্তা ছেড়ে চলে যাব’।

গাড়িটিতে রং দিয়ে শ্লোগান লেখার ঘটনাকে মি. আহমাদ উল্লেখ করেন অতি উৎসাহী আন্দোলনকারীর আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে।

‘দেখুন আন্দোলন পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সব শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে এসেছে। তবে এখানে কারো যদি আবেগ বেড়ে যাওয়ার পর সে এরকম কিছু করে বসে তখন আর কিইবা করার থাকে আমাদের’?

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করায় জন ভোগান্তি হচ্ছে স্বীকার করে মি. আহমাদ আরো বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাই যেখানে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেটা রক্ষার আমাদের এই আন্দোলনে এতটুকু কষ্ট নাগরিকেরা নিশ্চয়ই মেনে নেবেন। বিবিসি বাংলা



মন্তব্য চালু নেই