আদিবাসী মা ও মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা: অতঃপর

এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল এক দাগি অপরাধী। কিন্তু নারীর অপ্রতিরোধ্য চেষ্টায় তা সম্ভব হয়নি। বরং উল্টো যা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্যই বটে! ধর্ষণ চেষ্টাকারী যুবকের প্রথমে লিঙ্গচ্ছেদ করেন ওই নারী। এরপর হত্যা করেন। সবশেষে বন্ধুদের সহায়তায় কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে ওই যুবকের দেহ মাটিতে পুঁতে দেন!

আর এ ঘটনাটি ঘটেছে আসামের বিশ্বনাথ চরিয়ালি এলাকায়। অবশ্য খুনের দায়ে রীতা ওঁরাও নামে ওই নারী এবং তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদিবাসী নারী রীতা জানান, কৃষ্ণ ভূমিজ নামে ওই যুবক তার বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।

তিনি প্রথমে কুঠার দিয়ে কৃষ্ণকে আঘাত করেন। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। এরপর সাত নারীকে ডেকে তাদের সাহায্যে কৃষ্ণর দেহ কবর দেন। জেলা পুলিশ সুপার অঞ্জুর জৈন জানান, ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসের ৪ তারিখে। তবে তা প্রকাশ্যে আসে ১৫ দিন পরে যখন কৃষ্ণর পরিবারের লোকেরা তার নিখোঁজ হওয়ার কথা পুলিশকে জানান। তদন্ত করে পুলিশ কৃষ্ণর খুনের কথা জানতে পারে। তার দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রীতা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সাত নারীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র: এবিপি আনন্দ



মন্তব্য চালু নেই