আদালতের প্রতি ফের অনাস্থা খালেদার

দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালত পরিবর্তনের আবেদনে হাইকোর্টে যাওয়ার সুযোগ রেখে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করা হয়েছে।

রাজধানীর বকশীবাজারের স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদ্দারের বিশেষ আদালতে মামলা দু’টির বিচার চলছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরা ছিল আজ বৃহস্পতিবার। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হয়ে হাজিরা থেকে তাকে অব্যাহতি, সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি এবং আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তার পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ খালেদা জিয়াকে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। তবে তার অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলতে থাকে। পরে আদালত ২৯ জানুযারি পর্যন্ত সাক্ষ্য মুলতবি করেন।

আদালতের প্রতি অনাস্থা আনা আবেদন নিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এখন হাইকোর্টে যেতে পারেন।

এর আগেও বিচারপতি বাসুদেব ধরের আদালত পরিবর্তনের জন্য খালেদা জিয়া হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে বাসু দেব ধরের পরিবর্তে আবু আহমেদ জমাদ্দারকে বিশেষ আদালতের বিচারক নিযুক্ত করা হয়।

আজও দুর্নীতির এই দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদ সাক্ষ্য দেন। একপর্যায়ে বেলা ১২টার আগে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।

খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, হাজিরা থেকে অব্যাহতি ও সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবির জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন জানিয়েছিলেন তারা।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য তারিখ ছিল ৭ জানুয়ারি। অবরোধ ও অসুস্থ্যতার কারণে সেদিন হাজিরা দিতে যাননি খালেদা জিয়া।

পরে আদালত কেবল ওই দিনের জন্য খালেদা জিয়াকে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদী ও দুদকের উপ-পরিচালক হারুনর রশীদ ওইদিনও সাক্ষ্য দেন।

এদিকে গত ৪ জানুয়ারি থেকে গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন খালেদা জিয়া। পুলিশ বলছে, তিনি নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন। তাই তাকে নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই