‘আত্মহত্যা করবো, আত্মসমর্পণ নয়’ : জঙ্গি জসিম

‘নিজের জীবন নিজে দিব, আত্মহত্যা করবো, তবুও তোদের কাছে আত্মসমর্পণ করবো না। তোদের (পুলিশ) বড় অফিসার কে? তাকে আসতে বল। তোরা আমাকে ধরতে পারবি না। আমার হাতের বোমায় আত্মহত্যা করবো, শহীদ হবো, আল্লাহু আকবর। ’

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর বাস স্টেশন থেকে খাদঘর এলাকা পর্যন্ত পুলিশের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ চলাকালে এভাবেই পুলিশকে হুমকি দিচ্ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য জসিম (২২)।

হাইওয়ে পুলিশের সাথে প্রায় ২০ মিনিট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং স্থানীয় সাহসী যুবকদের ইট-পাটকেলের বিপরীতে আল্লাহু আকবর ধ্বনীতে একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল জেএমবি সদস্য জসিম। আর নিজের বুকেট সাথে চেপে ধরে রাখা শক্তিশালী বোমার সুইচ টিপতে টিপতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশের কয়েক রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ধান ক্ষেতে নেমে পড়ে জঙ্গি জসিম। সেখানে স্থানীয় এক ট্রাক চালকসহ আরও এক যুবক অধিক সাহস সঞ্চয় করে তার সাথে সাথে ধান ক্ষেতে নেমে পড়ে। দুই যুবকের লাঠির আঘাতে জমিতে লুটিয়ে পড়লে ধরাশায়ী হয় তরুণ জঙ্গি জসিম।

এর আগে হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট (এস.আই) মোস্তফা কামাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর বাস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্পিড ডিটেক্টর মেশিনে চলাচলরত গাড়ির গতি নির্ণয়ে অভিযান চালাচ্ছিলেন। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহণের অধিক গতি থাকার অপরাধে বাসটির গতিরোধ করায় বাসে থাকা জেএমজি সদস্যরা ভুল বুঝে বাস থেকে নেমে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে পরপর ২টি বোমা ছুড়ে। কিন্তু ভাগ্যবসত শক্তিশালী বোমা দুইটি বিষ্ফোরিত না হওয়ায় প্রাণ বেঁচে যায় পুলিশসহ বাসের অন্যান্য যাত্রীরা।

এদিকে নিক্ষিপ্ত ২টি বোমা অজ্ঞাত কারণে বিষ্ফোরিত না হওয়ায় জঙ্গি জসিম ও হাসান তাদের কাঁধে থাকা ট্রাভেল ব্যাগ থেকে আরও বোমা নিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে। তারপরও ওই বোমা বিষ্ফোরণে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় জসিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এবং হাসানকে অক্ষত অবস্থায় আটক করে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই