আত্মহত্যার হুমকি দিয়েও লাভ হলো না, সেরা ছাত্রের রেজাল্ট বাতিল!

সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। তবে সামান্য কয়েকটি উত্তর পুরো বিষয়টিকে জটিল করে দিল। সম্প্রতি ভারতের বিহার বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরিয়েছে। সেখানে মানবিক এবং বিজ্ঞানে-র দুই সেরা চাত্রছাত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন উত্তর দিয়েছেন, যার কারণে পরীক্ষার পর বাধ্য হয়ে তাদের রেজাল্ট বাতিল করেছে বোর্ড।

তাদের সমস্যা ছিল। বিজ্ঞান বিভাগের সেরা ছাত্র সৌরভ শ্রেষ্ঠ ক্রস এক্সামের ঘরেই রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন, যদি ফের পরীক্ষা নেয়া হয়, তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।

পরীক্ষা দেয়ার পর তাদের রেজাল্ট বেরিয়েছে। বোর্ডে সেরা হয়েছেন তাই শিরোপা পেয়েছিলেন সৌরভ শ্রেষ্ঠ। ফের পরীক্ষা কথা উঠছে কেন? কারণ, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ফল বেরনোর পর তাকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করেন, যার উত্তর দিতে গিয়ে নাজেহাল হন সৌরভ। ক্যামেরার সামনে এমন কাজ বেশি ক্ষণ চাপা থাকেনি। আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পরই নড়েচড়ে বসে বিহার বোর্ডের কর্মকর্তারা।

বোর্ডের পক্ষ থেকে গতকাল ৪ জুন শুক্রবার একটি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। সেখানে র‌্যাঙ্ক পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ফের একবার পরীক্ষা নেয়া হয়। মৌখিক এবং লিখিত দু’ রকম পরীক্ষার ব্যবস্থাই ছিল। সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে। সৌরভও গিয়েছিলেন পরীক্ষা দিতে। ক্যালকুলাসর একটি ফর্মুলা জিজ্ঞাসা করায় তিনি সকলের সামনেই আত্মহত্যার হুমকি দেন। বলেন, ‘আবার কেন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে? আমি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছি। আপনাদের সাবধান করছি, এ ধরনের প্রশ্ন করবেন না। আমি কিন্তু আত্মহত্যা করব!’

এর পরই তড়িঘড়ি পরীক্ষা খানিক ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আরো কিছু প্রশ্ন করে ছেড়ে দেয়া হয় সৌরভকে। সূত্রের খবর, সৌরভ সকলের সামনে স্বীকার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভিডিয়ো প্রকাশ হওয়ার পর থেকে অনেক চাপের মধ্যে রয়েছেন তিনি। কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মতো অবস্থা নেই তার।

তবে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে সৌরভ বলেন, ‘পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সারা বিশ্ব সত্যিটা জানতে পারবে।’ তেব শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার সৌরভ-সহ বিজ্ঞানে তৃতীয় স্থানাধিকারি রাহুল কুমার এবং কলা বিভাগের সেরা ছাত্রী রুবি রাইয়ের রেজাল্ট বাতিল ঘোষণা করে। রুবি পরীক্ষা দিতে যাননি। তাকে ১১ তারিখের মধ্যে বোর্ডের সামনে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকি ১১ জন পরীক্ষায় পাশ করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই