আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার : ফখরুল

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিলের যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা যে কত বড় সংকীর্ণতা যখন বুঝবে তখন আওয়ামী লীগ আর শোধরানোর সুযোগ পাবে না।

শুক্রবার বিকেলে দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জাতিকে বিভাজনের রাজনীতি থেকে একত্রিতও করেছিলেন তিনি। তবে যে সরকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তা কতটা নোংরা যখন তারা বুঝবে তখন আর শোধরানোর সুযোগ থাকবে না।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয় সরকার। সেই পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন অবদানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তাকে ওই সময়ের সরকার বীর উত্তম উপাধীতে ভূষিত করেছে।

স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতা পদ দেয়া হয়। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানকেও এ পদক দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ছিল রাজনৈতিক উদারতার চরম দৃষ্টান্ত।

ফখরুল বলেন, আজকে অত্যন্ত হাতাশা এবং দুর্ভাগ্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছি জিয়াউর রহমানের সেই সম্মাননা বর্তমান বিতর্কিত ও অবৈধ সরকার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গায়ের জোরে যারা নোংরাভাবে পদক মুছে দিতে চাইছে তারাও একইভাবে মুছে যেতে পারে। এই দেশ থাকবে, পদক থাকবে কিন্তু ওই দল নাও থাকবে পারে।

অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিভিন্নভাবে দেশে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। দেশে পদক পাওয়া সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছিল তারা।

জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে এই সম্মাননা চালু করেন। এর পর অনেকে গুণিজন এই সম্মাননা পেয়েছেন।

সরকারকে মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিন। তাহলে জাতি আপনাদের মুক্তি দিবে। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।



মন্তব্য চালু নেই