ধারণা পুলিশের

আটক তিন নারীর একজন ‘মেজর’ জাহিদের স্ত্রী

আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে যে তিন নারীকে আহতাবস্থায় আটক করেছে পুলিশ তাদের একজন রূপনগরে নিহত ‘মেজর’ জাহিদ ওরফে মুরাদের স্ত্রী বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহত ‘জঙ্গি’ নারীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্তি উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, আজিমপুরে আটক তিন নারীর একজন শায়লা; তিনি রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বাসা থেকে দুটি শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা তারা মেজর জাহিদের দুই সন্তান।

শনিবার সন্ধ্যার পর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযান চালাতে গেলে ভেতরে থাকা নারী জঙ্গিরা পুলিশকে ছুরিকাঘাত ও মরিচের গুঁড়া মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের পাঁচ সদস্য।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর সড়কের একটি ছয়তলা ভবনে পুলিশের অভিযানে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম নিহত হন। প্রায় দুই বছর আগে মেজর পদ থেকে ইস্তফা দেয়া জাহিদ নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডার ছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। তিনি ওই বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়েই থাকতেন। তবে অভিযানের আগেই স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে সরিয়ে ফেলেন। ওই অভিযানের পর থেকেই মেজর জাহিদের স্ত্রী-সন্তানের খোঁজে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।



মন্তব্য চালু নেই